ততক্ষণে ২৩ ওভার বোলিং করে ফেলেছে ভারত, খণ্ডকালীন স্পিনার কেদার যাদভও হাত ঘুরিয়ে ফেলেছেন ৬ ওভার। কিন্তু বিশেষজ্ঞ স্পিনার ইয়ুজভেন্দ্র চাহালকে এক ওভারও করাননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। হয়তো রেখেছিলেন নিজের তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করানোর।
Advertisement
২৪তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসে চাহাল শুধু অধিনায়কের তুরুপের তাস হিসেবেই কাজ করেননি, গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েছেন ২৮ বছর বয়সী এ লেগস্পিনার।
নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শন মার্শের স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন চাহাল। এক বল পরেই সরাসরি বোল্ড করে দেন আরেক সেট ব্যাটসম্যান উসমান খাজাকেও। নিজের নবম ওভারে ফেরান অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পিটার হ্যান্ডসকম্বকে।
এর আগে পরে মার্কাস স্টোইনিস, ঝাই রিচার্ডডসন এবং অ্যাডাম জাম্পার উইকেট নিলে ১০ ওভার শেষে চাহালের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১০-০-৪২-৬। যা কি-না ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড।
Advertisement
তবে এ রেকর্ডে চাহাল একাই নন। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঠিক ৪২ রানেই ৬ উইকেট নিয়েছিলেন চাহালের স্বদেশী পেসার অজিত আগারকার। যুগ্মভাবে চাহাল এবং আগারকারের দখলেই এখন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক ম্যাচে ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তি রয়েছে মাত্র ৪টি। চাহাল এবং আগারকার ব্যতীত মিচেল স্টার্ক ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারিতেই নিয়েছিলেন ৪৩ রানে উইকেট। তার আগে ২০১১ সালে ৪৫ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস।
তবে স্পিনারদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন চাহাল। প্রথম স্পিনার হিসেবে নিয়েছেন ৬ উইকেট। তিনি ছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৫ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৭ জন স্পিনার। তারা হলেন রবি শাস্ত্রি, সাকলাইন মুশতাক, ব্র্যাড হগ, শেন ওয়ার্ন, জিমি অ্যাডামস, ইমরান তাহির এবং আবদুল কাদির।
এসএএস/এমএস
Advertisement