মুম্বাই হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী তথা অন্ধকার জগতের বাদশা দাউদ ইব্রাহিমের অন্যতম সহচর ফারুক দেবডিওয়ালাকে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে এমন খবর এসেছে।
Advertisement
এই দেবডিওয়ালাকে গত বছর দুবাইয়ে গ্রেফতার করা হলেও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় ভারত। মনে করা হচ্ছে দাউদের একসময়ের সহচর ছোটা শাকিলের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ভারতের মাটিতে একাধিক অভিযোগ ছিল ফারুকের বিরুদ্ধে। ভারতে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সংগঠনে লোক নিয়োগ করারও অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে একাধিক জাল নথিপত্র ও পাক পাসপোর্টের সহায়তায় পাকিস্তানে যান ফারুক।
Advertisement
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে খবরে বলা হয়েছে, সূত্রের খবর, দাউদের অন্যতম সহচর ছোটা শাকিল চরের মাধ্যমে খবর পায় ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখেছিলেন ফারুক এবং দাউদকে হত্যার চক্রান্ত করছিলেন।
মনে করা হচ্ছে, পরে গোটা বিষয়টির স্পষ্ট ভাবে জানার পর ‘ডি গ্যাং’ ঠিক করে ফেলে ফারুকের ওপর আর বিশ্বাস নয়; যার জেরেই ফারুককে হত্যা করা হয়।
তবে এ বিষয়ে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফ থেকে পরিষ্কার করে কিছু জানানো হয়নি।
পাকিস্তানে ফারুকের হত্যার বিষয়টি যদি সত্যি হয় তবে তিনি হলেন দাউদ গ্যাংয়ের দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি পাকিস্তানের মাটিতে খুন হলেন। এরআগে ২০০২ সালে ফিরোজ নামে এক গ্যাংস্টার খুন হয়েছিলেন পাকিস্তানে। মনে করা হয়, দাউদকে অসম্মানসূচক মন্তব্য করার জন্যই খুন হতে হয়েছিল ফিরোজকে।
Advertisement
তবে এত কিছুর পরও মুম্বাই পুলিশ তথা ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এখনও অধরা দাউদ ইব্রাহিম। ১৯৯৩ সালের মুম্বাইয়ে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দাউদ ইব্রাহিমের নাম জড়ানোর পর থেকেই দেশ ছাড়া তিনি।
ভারতের দাবি দাউদ ইব্রাহিম বর্তমানে পাকিস্তানের করাচিতে রয়েছেন, তবে তা মানতে নারাজ পাকিস্তান।
এনএফ/এমএস