বাবার নিপীড়ন থেকে বাঁচতে সৌদি আরব থেকে পালানোর আকুতি টুইটারে জানিয়েছেন দেশটির আরো এক তরুণী। কানাডায় ১৮ বছর বয়সী সৌদি তরুণী রাহাফ আল-কুনুন আশ্রয় পাওয়ার কয়েকদিন পর এই আকুতি জানালেন তিনি।
Advertisement
নতুন করে সৌদি পালাতে চাওয়া এই তরুণী টুইটারে নোজোদ আল-মান্দিল নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তার আকুতি জানিয়েছেন। তবে তার ঘটনা আল-কুনুনের থেকে আলাদা। তিনি এখনো সৌদি ছাড়েননি, তার ছবি প্রকাশ করেননি; শুধুমাত্র সহায়তা চেয়ে আরবি ভাষায় টুইট করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : মেলেনি সহায়তা, সাইকেলে করে মায়ের দেহ সৎকারে নিয়ে গেল ছেলে
সোমবার টুইটারে একটি অডিও বার্তা টুইট করেন আল-মান্দিল। এতে তিনি অভিযোগ করেন, তুচ্ছ কিছু বিষয় নিয়ে তার বাবা তাকে মারধর করেছেন। এমনকি তার শরীরে অাগুনও দিয়েছেন।
Advertisement
এক ভিডিওতে বাড়ির পাশের একটি সুইমিং পুল দেখান তিনি। ভিডিওতে আল-মান্দিল বলেন, তিনি জানালা দিয়ে এই পুলে লাফিয়ে পড়েছিলেন। পরে তার এক বন্ধু তাকে উদ্ধার করে এবং তারা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : স্ত্রীর লাশ কাঁধে ১০ কিলোমিটার হাঁটলেন দানা মাঝি
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাকে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করতে বলবেন না। তার ব্যাখ্যা, আগে একবার তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন; তখন পুলিশ তার বাবার কাছে থেকে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নিয়েছিল। এতে তিনি বলেছিলেন, মেয়েকে আর মারপিট করবেন না।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া জাগানোর পর পারিবারিক নির্যাতনের শিকারদের জন্য সৌদি আরবের একটি সুরক্ষা হটলাইন কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
Advertisement
পরে তাকে উদ্ধারের পর একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার এই তরুণী টুইটারে আবারো জানান, আশ্রয় কেন্দ্রে স্বাধীনভাবে চলাফেরায় তাকে বাধা দেয়া হচ্ছে।
সূত্র : আলজাজিরা।
এসআইএস/এমকেএইচ