প্রাপ্ত বয়স্ক, স্বাধীন, সুস্থ ও জ্ঞানবান নারী-পুরুষের ওপর ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। ইসলামের বিধান হলো জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা। আর জামাআতে নামাজ আদায়ের সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদ। তাছাড়া মসজিদে যে কোনো নামাজ আদায়ের মধ্যে সর্বাধিক একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এ কারণে ঘর কিংবা বাসা থেকে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ায় রয়েছে অনেকগুণ ছাওয়াব। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি এমনটিই ঘোষণা দিয়েছেন-
Advertisement
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পুরুষদের পক্ষে জামায়াতে নামাজ আদায় করার ছাওয়াব তার ঘরে ও বাজারে নামাজ পড়ার চেয়ে পঁচিশ গুণ বেশি। এর (মসজিদে নামাজ আদায়ের) কারণ হলো-- কোনো ব্যক্তি যখন ভালভাবে ওজু করে নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমন করে এবং নামাজ ছাড়া তার মনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য না থাকে; তখন মসজিদে প্রবেশ না করা পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপের (কদমের) বিনিময়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং একটি গোনাহও মাফ হয়ে যায়।- মসজিদে প্রবেশ করে যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকে, ততক্ষণ সে নামাজের অনুরূপই ছাওয়াব পেতে থাকে।- আর যে ব্যক্তি নামাজ আদায়ের পর কাউকে কষ্ট না দিয়ে ওজুসহ মসজিদে অবস্থান করে, ততক্ষণ ফেরেশতারা তার ক্ষমার জন্য এই বলে দোয়া করতে থাকে-‘হে আল্লাহ! এ (ব্যক্তি) কে তুমি ক্ষমা করে দাও; হে আল্লাহ! এর তাওবা কবুল কর; হে আল্লাহ! এর প্রতি তুমি দয়া প্রদর্শন কর। (বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখিত হাদিসটি প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য মেনে চলা জরুরি। যেখানে রয়েছে জামাআতে নামাজ আদায়ের কথা। নিজের মনের একান্ত বাসনাগুলো আল্লাহর সমীপে পেশ করার সর্বোত্তম পরিবেশ ও নিরাপদ জায়গা এ মসজিদ।
সুতরাং জামাআত হয়ে গেলেও মুমিন মুসলমানের উচিত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে উল্লেখিত ফজিলত ও মর্যাদাগুলো অর্জন করা।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর নামাজের মতো আবশ্যক মনে করে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার বিশেষ করে মসজিদে গিয়ে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। মসজিদের সঙ্গে প্রত্যেক মুমিনের অন্তরের আকর্ষন তৈরি করে দিন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম