দুর্ঘটনার এক মাস পর অবশেষে এক শ্রমিকের মরদেহের খোঁজ মিলল মেঘালয়ের কসানের কয়লা খনি থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে খনির প্রায় ১৬০ ফুট গভীরে ওই শ্রমিকের মরদেহ দেখতে পান উদ্ধারকারীরা।
Advertisement
এক মাস আগে মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের অবৈধ খনিটি থেকে কয়লা তুলতে গিয়েছিলেন শ্রমিকের একটি দল। কিন্তু তারা আর ফিরতে পারেননি। খনির ভেতরে ধসের কারণে আটকে যান ১৫ শ্রমিক। তারপর থেকেই শুরু হয় উৎকণ্ঠার।
সময় যত কেটেছে, ততই বেড়েছে উৎকন্ঠা। শ্রমিকদের উদ্ধারে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে এনডিআরএফ-ডুবুরিদের। মাটির নীচে নজর দেয়া যায় এমন রাডার দিয়ে খোঁজ চালানো হয়। নামানো হয় দূরনিয়ন্ত্রিত ছোট যান। কিন্তু এক মাসেও কোনও সাফল্য না মেলায় মেঘালয় সরকার দিশাহারা হয়ে পড়ে। তবে উদ্ধারকাজ চলছিল।
এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, নৌবাহিনী, কোল ইন্ডিয়া, কির্লোস্কার, প্ল্যানিস টেকনলজিসহ বিভিন্ন সংস্থার দুই শতাধিক উদ্ধারকারী ৩০ দিন ধরে উদ্ধারকাজ চালিয়ে কয়েক কোটি লিটার পানি বের করলেও ৩৭০ ফুট গভীর গহ্বরে জমা ১৬০ ফুট পানি কমাতে পারেননি। কোটি টাকার উপরে খরচ হয়েছে ইতোমধ্যেই। অবশেষ বৃহস্পতিবার খোঁজ পাওয়া গেল এক শ্রমিকের মরদেহের।
Advertisement
আরও কত দিন চলবে উদ্ধারকাজ তা কেউ জানে না। আটকে পড়া বাকি কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হয়নি। ইতিমধ্যেই মাটির গভীরে কার্যক্ষম রাডার নিয়ে হায়দরাবাদের ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও চেন্নাইয়ের প্ল্যানিস টেকনলজির দল এবং রুরকির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হাইড্রলজির বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উদ্ধারকারীদের একাংশের আশঙ্কা, খনির পানিতে অ্যাসিড থাকায় মরদেহগুলো গলে যেতে পারে।
টিটিএন/পিআর