একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের নেয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে গেছে।
Advertisement
আজ (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন। রিট আবেদনটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় তা খারিজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, এ কে এম এহসানুর রহমান এবং অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও মুরাদ রেজা। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, অমিত তালুকদার প্রমুখ। আরও ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস।
গত সোমবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তাওহীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এই রিট দায়ের করেন। রিটে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।
Advertisement
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশের জবাব না দেয়াই এই রিট আবেদন করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সে অনুচ্ছেদ প্রতিপালন না করে পুনরায় সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ায় বর্তমানে দুইটি সংসদ বহাল রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী। কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয় বলে জানান ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচন নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
এফএইচ/এনএফ/পিআর
Advertisement