জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে যাদের বয়স ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছিল এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, শুধুমাত্র তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির আবেদন করতে পারবেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা এখনও গেজেটভুক্ত হননি তাদের আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে জামুকা বরাবর আবেদন করতে হবে।স্বাধীনতা অর্জনের ৪৩ বছর পর এই সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। মগবাজারের কার্যালয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ২৫তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জামুকার সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা অনুযায়ী লাল মুক্তিবার্তা, ভারতীয় তালিকা, প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত সনদ, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বাইরে যুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে অবদানকারী, সশস্ত্র বাহিনী, ইপিআর, আনসার, মুজিবনগর সরকারের এমএন ও এমপিএ, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগিদের দ্বারা নির্যাতিত নারী (বীরাঙ্গনা), স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াররা, মুক্তিযুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসক নার্স ও সহকর্মী, মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের অধীনে অফিসসমূহের দাফতরিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, স্বাধীনতার পক্ষের সাংবাদিকরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Advertisement