নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঠাকুরগঞ্জ গ্রামের ওপারে ভুজারীপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত খলিল-উর রহমান খলিলের (৩২) মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
Advertisement
বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বাংলাদেশ-ভারতের ৭৯৩ নম্বর সীমান্ত প্রধান পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য ডিমলা থানা পুলিশ মরদেহ আজ নীলফামারীর মর্গে পাঠাবে বলে জানা গেছে।
মরদেহ গ্রহণ শেষে ডিমলা থানার ওসি জানান, ভারতীয় হলদিবাড়ি থানায় তারা একটি ইউডি মামলা করে মরদেহ ময়নাতদন্ত করেছে। আমরা স্থানীয়ভাবে আইনি কার্যক্রম শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করবো।
জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশের ঠাকুরগঞ্জ ও ভারতের ভুজারীপাড়া সীমান্তে ৭৯১ নম্বর প্রধান সীমান্ত পিলার দিয়ে খলিলসহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের কোচবিহার ব্যাটালিয়নের ভুজারীপাড়া বিএসএফের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে ও গুলি ছোড়ে। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও খলিল বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এরপর বিএসএফ সদস্যরা খলিলের মরদেহ নিয়ে যায়।
Advertisement
ঘটনার দিন দুপুরে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে বিএসএফ কোচবিহার হাসপাতালে খলিলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়। সেই আশ্বাসে বুধবার রাতে মরদেহ হস্তান্তর করে।
এর আগে দুপুরের মধ্যে মরদেহ ফেরত দেয়ার কথা থাকায় ওই সীমান্তে শত শত মানুষজন ভিড় করে। ফলে বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তরের সময় পাল্টে রাতে দেয়।
জাহেদুল ইসলাম/এফএ/পিআর
Advertisement