হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর স্থান কার্গো কমপ্লেক্স ও কার্গো ভিলেজ। গ্রাহকদের মূল্যবান আমদানি-রফতানি পণ্য থাকে এ স্থানে। কিন্তু অযত্ন-অবহেলার কারণে ধুলাবালি, অবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকে কার্গো পণ্যের ওপর। অথচ এসব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে মোট অঙ্কের ফি আদায় করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
Advertisement
জানা গেছে, বিমানবন্দরের মালিকানা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)। তবে ভাড়াটিয়া হিসেবে কার্গো কমপ্লেক্স ও কার্গো ভিলেজ ব্যবহার করছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যে কারণে, ওই এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায় নিয়ে বেবিচক ও বিমান পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান জাগো নিউজকে বলেন, বিমানবন্দরের মালিক বেবিচক। কিন্তু এখানে ফ্লাইট পরিচালনা করা সব এয়ারলাইন্স বেবিচকের ভাড়াটিয়া, যার নিয়ন্ত্রণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এখন ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা বা না রাখা এটি একান্ত তাদের বিষয়।
তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) প্রতিমন্ত্রীমহোদয় কার্গো এলাকা পরিদর্শন করে ময়লা-আবর্জনার বিষয়ে যে কথা বলেছেন, তা ঠিক। আমরা রেগুলেটরি বোর্ড হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেও দিয়েছি। আশা করছি, বিমান যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
Advertisement
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের সপ্তাহের মধ্যেই মঙ্গলবার বিমানবন্দর কার্গো এলাকায় আবর্জনা দেখে কড়া কথা বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তখন তিনি কার্গো কমপ্লেক্স ও কার্গো ভিলেজ এলাকায় আবর্জনা আর ধুলাবালির স্তূপ জমার কারণ জানতে চান। প্রতিমন্ত্রীর ক্ষোভের সময় তার সঙ্গে থাকা বেবিচক ও বিমান কর্মকর্তারা কোনও শব্দ না করলেও পরে একে অপরকে দোষারোপ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে বুধবার বিমানের কার্গো শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল ধরেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানের এক কর্মকর্তা বলেন, কার্গো কমপ্লেক্স ও কার্গো ভিলেজ এলাকায় সামান্য ধুলাবালি থাকলেও তা উইন্টারের (শীত) কারণে। এ মৌসুমে প্রচুর ধুলাবালি হয়। আমাদের স্টাফরা প্রতিদিনই ভেতরের ধুলাবালি পরিষ্কার করেন। এ জন্য আলাদা জনবলও আছে।
আরএম/জেডএ
Advertisement