ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করে একটু এগোতেই হাতের ডানপাশে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অস্থায়ী কার্যালয়। মেলায় বৈষম্যের শিকার ভোক্তারা এখানে এসে অভিযোগ করতে পারেন।
Advertisement
তবে এবারের বাণিজ্য মেলার সপ্তম দিন পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে মাত্র পাঁচটি অভিযোগ জমা পড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাতদিনে পাঁচটি অভিযোগ পড়া তুলনামূলক কম। কর্তৃপক্ষের দাবি, ভোক্তারা হয়তো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন না, তাই অভিযোগের সংখ্যাও কম।
বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত অধিদফতরের অস্থায়ী কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোক্তা অধিকারের বিচারক ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী মেলায় আসেননি। এছাড়া তিন-চার দিন আগেও প্রতিদিন সকাল ১০টায় মেলা শুরু হলেও ১১টা পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অস্থায়ী কার্যালয় বন্ধ দেখা যায়।
Advertisement
এ বিষয়ে অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনীকে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। বুধবার দুপুরে মেলা কার্যালয়ে অভিযোগ গ্রহণকারী শেখ মো. রাসেল জাগো নিউজকে বলেন, গত বছর আমাদের কার্যক্রম ছিল ব্যাপাক। এ বছরও খাবারের ন্যায্য মূল্য তালিকা টানানোসহ আমাদের প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত মেলা জমে ওঠেনি, জমলে হয়তো কিছু অভিযোগ আসতে পারে।
‘সবকিছু ঠিকঠাকভাবে চলছে বলে হয়তো অভিযোগের পরিমাণ কম’- মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত পাওয়া পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটির নিষ্পত্তি হয়েছে। দুটি অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন এবং একটির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
নিষ্পত্তি হওয়া অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১০ জানুয়ারি হাসান শাহরিয়ারের টিকিট সংক্রান্ত অভিযোগ। সেটি সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। হাজী বিরিয়ানি হাউজের বিরুদ্ধে খাবারের মূল্য বেশি রাখার অভিযোগ করেন মো. মামুন মোল্লা। ১৫০ টাকা ফেরত দেয়ার মাধ্যমে সেটিও সমঝোতা করা হয়।
Advertisement
প্রক্রিয়াধীন অভিযোগ দুটির মধ্যে বিস্কুটে পোকা ও ফাঙাস পড়ার অভিযোগ করেন সুমাইয়া আফরিন। মাসুদ রানা বিস্কুটের প্যাকেটসহ প্যাকেজ করার অভিযোগ করেন। নান্ন বিরিয়ানির বিরুদ্ধে খাবারের মূল্য বেশি রাখার অভিযোগ করেন মুফতি মাহমুদুল হাসান। তবে অভিযোগটি প্রমাণিত হয়নি।
মাসব্যাপী ২৪তম এই বাণিজ্য মেলা ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো- থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।
পিডি/এমএআর/পিআর