মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, আমি এত সংবর্ধনা চাই না। সেজন্য পথে পথে তোরণ নির্মাণ ও মোটরসাইকেল এবং গাড়িবহর নিয়ে শোডাউন করতে নিষেধ করেছি।
Advertisement
তিনি বলেন, আমি তো আপনাদেরই লোক। আপনারা আমাকে ভালোবাসেন আমি জানি। এর প্রমাণ হিসেবে আপনারা ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিয়েছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, দোয়া করবেন আমি যেন সততার সঙ্গে তা পালন করতে পারি।
বুধবার নেত্রকোনায় নির্বাচন পরবর্তী এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এমপি হিসেবে শপথ ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর বুধবার নিজ এলাকায় এলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন সংগঠন থেকে প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ দেবে সরকার। নেত্রকোনা হাওরাঞ্চল। এখানে ছোট-বড় ১৩৪টি হাওর রয়েছে। এই জেলায় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আমাদের তরুণ সমাজ দেশকে বদলে দিচ্ছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ আজ ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কাছ থেকে এখন বিশ্বের অন্য দেশ শিক্ষা নিচ্ছে।
Advertisement
সকাল ১০টার দিকে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের শ্যামগঞ্জ বাজার এলাকায় আসার পর নেতাকর্মীরা প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী গাড়িবহর নিয়ে ওই সড়কের পাশে বাগড়া মাদরাসায় গেলে মাদরাসার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। চল্লিশা এলাকায় মায়ের নামে গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘হেনা ইসলাম কলেজে’ গেলে সেখানেও তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এরপর কলেজ মাঠে চল্লিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। এতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার ফকিরের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিমন্ত্রী নেত্রকোনা সার্কিট হাউজে যান। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। পরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতর, সংগঠনের নেতাকর্মী প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
Advertisement
এরপর প্রতিমন্ত্রী মদনপুরে হজরত শাহ সুলতান কমরউদ্দিন রুমীর মাজার জিয়ারত করেন। সেখান থেকে বিকেল ৩টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরাতন কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মতিয়র রহমান খানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম খান ও শ্রমবিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন- জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নুরুল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক তফসীর উদ্দিন খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা রহমান খান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মারুফ হাসান খান প্রমুখ।
কামাল হোসাইন/এএম/জেআইএম