ফিফা, এএফসির ব্যস্ত সূচির কারণে বিভিন্ন দেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট অনেক কমে গেছে। ঐতিহ্যবাহী কিছু টুর্নামেন্ট যাও অনুষ্ঠিত হয়, তাও অনিয়মিত। জৌলুসও নেই আগের মতো। এক সময় বাংলাদেশও আয়োজন করতো আগাখান গোল্ডকাপ ও প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপের মতো জনপ্রিয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। সেগুলো এখন ঠাঁই নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়।
Advertisement
এমন এক অবস্থায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বছরে তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও চট্টগ্রাম আবাহনীর আয়োজনে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ আগেই চালু হয়েছে। নতুন টুর্নামেন্টের নাম বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ। আগামী এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন।
ঘোষণাই নয় শুধু, টুর্নামেন্ট আয়োজনের কাজও শুরু করেছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা। গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের স্বত্বাধিকারি ছিল বিপণনী সংস্থা কে. স্পোর্টস। এ প্রতিষ্ঠানকেই দেয়া হয়েছে বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক ফুটবলের সব দায়িত্ব। বুধবার কে. স্পোর্টসের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি সাক্ষর করেছে বাফুফে। টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটি বাফুফেকে দেবে ২৫ লাখ টাকা।
দল পেতে কাঠখড় পোড়ানো, ফিফা-এএফসির সিডিউল পেতে সমস্যা- এসব প্রতিকুলতা ঠেলে বছরের তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের চ্যালেঞ্জ কতটা? বাফুফে কি পারবে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা করবো, টুর্নামেন্ট হবে। আমরা ফুটবলে উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের ১০০ গুণ বেশি কাজ করতে হবে।’
Advertisement
বাফুফের ঘোষণা অনুযায়ী এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে হবে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ। ৬ দেশ নিয়ে টুর্নামেন্ট হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। অতিথি দলগুলো এখনো ঠিক হয়নি। এশিয়া বিভিন্ন অঞ্চলের ১০ টি দেশকে চিঠি দিয়েছে বাফুফে। সেগুলোর মধ্যে থেকে ৫ দেশ চূড়ান্ত করা হবে।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মতো বঙ্গমাতা গোল্ডকাপও প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট সময়ে হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। বাংলাদেশের মেয়ে ফুটবলাররা বেশিরভাগই তরুণী। যে কারণে, জাতীয় দলভিত্তিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছে না বাফুফে। তিন/চারটি আসর পর টুর্নামেন্ট জাতীয় দলের হবে বলেও জানিয়েছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন।
টুর্নামেন্টের স্বত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান কে. স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ এমএ করিম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টকেও সেভাবে উপস্থাপর করবো। মেয়েদের এ টুর্নামেন্টের আগে আমরা যথেষ্ট সময় পাচ্ছি। তাই সুন্দর করেই আয়োজন করার চেষ্টা করবো।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাফুফে সদস্য আমিরুল ইসলাম বাবু, মাহফুজা আক্তার কিরণ, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, কে. স্পোর্টসের পরিচালক আশফাক আহমেদ, মুনতাসির ভুঁইয়া ও চীফ অপারেটিং অফিসার মাহবুবুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/পিআর