পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেট নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। একটি উন্নত জনপদ হিসেবে সিলেটকে দেখতে চাই। তাই জাতিসংঘের চাকরি শেষে সিলেটে ফিরে নিজেকে নিয়োজিত করি জনসেবায়। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই প্রত্যাশিত উন্নয়ন করতে চাই।
Advertisement
মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে চেম্বার মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি অর্থনৈতিক কূটনীতি গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় সিলেটবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি জনগণের যে প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনা ও তার দলকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে।
Advertisement
তিনি বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদ ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, তাদের উত্তরসূরি হিসেবে আমি যেন সফল হতে পারি, দেশ ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি সেজন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে সব সূচকে উন্নত ও ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চাই। এজন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। ২০২০ সালে জাতির জনকের শততম জন্মবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশতবার্ষিকীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আমাদের সামনে রয়েছে। তাই সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সফলতার সঙ্গে আমার দায়িত্ব যাতে পালন করতে পারি সেজন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
ড. মোমেন বলেন, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ৫ জন সংসদ সদস্য মন্ত্রী পরিষদে রয়েছেন। এবার সবচেয়ে বড় সুযোগ আমাদের সামনে। আশা করি বড় প্রত্যাশা অর্জনে আমরা সক্ষম হবো।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের সব প্রত্যাশার কথা মন্ত্রীর জানা আছে। আমরা সম্মিলিতভাবে সিলেটকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো এবং সিলেটকে একটি মডেল ও শান্তির নগর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো। অনুষ্ঠানে রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির, কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার গোলাম মো. মুনীর, কর কমিশনার আবুল হান্নান দেলোয়ার হোসেন, সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিজিত চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মো. হিজকিল গুলজার, মুকির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/আরএআর/পিআর