ম্যাচের অর্ধেক পেরুতেই বলতে গেলে জয়টা নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে উইকেট যেমন বোলিং বান্ধব ছিল, তাতে দুশ্চিন্তাও ছিল কিছুটা। ১০ রানের মধ্যে তামিম ইকবাল আর এনামুল হক বিজয় জোড়া শূন্যতে সাজঘরে ফিরলে সে দুশ্চিন্তা আরও বাড়ে কুমিল্লার।
Advertisement
তবে লক্ষ্য মাত্র ৬৯ রানের। শুরুর ধাক্কা ঠিকই সামলে নিয়েছেন শামসুর রহমান শুভ আর ইমরুল কায়েস। তৃতীয় উইকেটে ৫৯ রানের জুটিতে দলকে ৮ উইকেটের বড় জয় এনে দিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তারা। শুভ ৩৪ আর ইমরুল ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে, দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঘরের মাঠের সিলেট সিক্সার্সকে মাত্র ৬৮ রানেই গুটিয়ে দিয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সিলেটের আসল ক্ষতিটা করেছেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই স্বাগতিক দলের ৩ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। পরের সময়টায় সেই ক্ষতি আর পুষিয়ে উঠতে পারেনি সিলেট।
Advertisement
একটা সময় তো ২২ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ডেভিড ওয়ার্নারের দল। মনে হচ্ছিল, বিপিএলের ইতিহাসেরই সর্বনিন্ম স্কোরে অলআউট হবে সিলেট। কিন্তু অলক কাপালির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বড় লজ্জা এড়িয়েছে স্বাগতিকরা।
বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটি খুলনা টাইটান্সের। ২০১৬ সালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মাত্র ১০.৪ ওভারেই ৪৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দলটি।
সিলেট তেমন লজ্জায় না পড়লেও ১৪.৫ ওভারের মধ্যে গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস। এক অলক কাপালি ছাড়া দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অংকের কোটা ছুঁতে পারেননি। কাপালি শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বল হাতে মেহেদী হাসান সবচেয়ে সফল। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর লোয়ার অর্ডারের ৩ উইকেট নিয়ে ওয়াহাব রিয়াজ শেষটা করেছেন। মাঝে ২টি উইকেট নেন লিয়াম ডসন।
Advertisement
এমএমআর/এমএস