জাতীয়

বাংলাদেশেও অভিবাসীদের গণকবরের আশঙ্কা

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় শনিবার নতুন করে এক গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশেও একই ধরনের গণকবর থাকতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।অভিবাসীদের অধিকার বিষয়ক সংগঠন কারাম এশিয়া`র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সমন্বয়ক হারুণ অর রশিদ বলেছেন, যেসব কেইস স্টাডি আমরা করেছি তাতে দেখা গেছে কোন কোন ক্ষেত্রে মানবপাচারকারীরা পাচারের শিকার লোকজনকে থাইল্যান্ড কিংবা মালয়েশিয়া নিয়ে আসেনি।তিনি বলেন, আমরা অভিবাসীদের জন্য যে হটলাইন চালু করেছি সেখানে এখনো যারা নিখোঁজ তাদের আত্মীয়-স্বজনরা জানাচ্ছেন তাদের কাছে মানব পাচারকারীরা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করছে।পাচারের শিকার এসব লোকজনের গন্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন হারুণ অর রশিদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশেই হয়তো তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ সংগ্রহ করা হয়েছে।মালয়েশিয়াতেও আরো গণকবর পাওয়া যেতে পারে আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এতগুলো গণকবর আবিষ্কারের পরও ওই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মানবপাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনতে পারেনি। কারণ তার জন্য যে পরিমাণ আঞ্চলিক সহযোগিতা দরকার তা করা হয়নি।শনিবার মালয়েশিয়ার পেরলিস প্রদেশের একটি গণকবর থেকে ২৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এসব দেহাবশেষ মিয়ানমারের নাগরিকদের নাকি বাংলাদেশিদের তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।এর আগে চলতি বছরের মে মাসে মালয়েশিয়ার ওই এলাকায় একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর সেখান থেকে কয়েক শ` লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।এসআইএস/এএ

Advertisement