দেশজুড়ে

সোনারগাঁয়ে সাংস্কৃতিক জোন হবে : প্রতিমন্ত্রী খালিদ

বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাংস্কৃতিক জোন তৈরিসহ সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা এবং লোকজ উৎসবের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, দেশের ঐতিহ্যকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। বর্তমান সরকার সাংস্কৃতিক বান্ধব সরকার। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা যদি কাজগুলো সঠিকভাবে সঠিক সময়ে সমাপ্ত করতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরন হবে। সোনারগাঁয়ে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য সাংস্কৃতিক জোন তৈরিসহ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।

ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খোরশেদ আলম, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম ও সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি প্রমুখ।

Advertisement

এবারের মেলার আকর্ষণ গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম ‘ভালবাসার তামা-কাঁসা-পিতল শিল্পের’ বিশেষ প্রদর্শনী। প্রদর্শনী উপলক্ষে গবেষণামূলক একটি ক্যাটালগ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।

ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬০ জন কারুশিল্পী মেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৩০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারি গান, মুর্শিদি গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তি-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা ও দোক খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দর্শনার্থীরা মেলা উদ্বোধনের সঙ্গে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। মেলা চত্বর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলা চলবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

Advertisement

শাহাদাত/এএম/এমএস