ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য পেতে মান বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম।
Advertisement
তিনি বলেন, তৈরি পোশাকের দাম বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন। এজন্য ক্যাপাসিটি বাড়ানোসহ উচ্চ মান সম্পন্ন পণ্যে উৎপাদন করতে হবে। নিম্ন মানের পণ্য দিয়ে দাম বাড়ানো বা বাজার বাড়ানো যাবে না। তবে আমরা এখন অনেক ভালো করছি।
মঙ্গলবার (১৫জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডেলিগেশন অব দি ইউরোপীয় ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের হেড অব ডেলিগেশন অ্যাম্বাসেডর রেন্সজে তেরিংক। এ সময় ইইউ অ্যাম্বাসির ইকোনমিক মিনিস্টার উপস্থিত ছিলেন।
মফিজুল ইসলাম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) ইনিশিয়েটিভের আওতায় বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে বেশ উপকৃত হচ্ছে। এ বাণিজ্য সুবিধার ফলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাক খাতের উন্নতি এবং শ্রমিকরা উপকৃত হচ্ছেন। বাংলাদেশ আশা করছে, আগামীতে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আমরা আশা করি, ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি তৈরি পোশাক আমদানি করবে। আমরা আরও আশা করি, ২০২৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেয়া হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ।
Advertisement
বাণিজ্য সচিব বলেন, তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোয় সরকার ও শিল্প মালিকদের প্রশংসা করেন তারা। তাদের সঙ্গে লেবার ইস্যু, আইএলও কনভেনশন, মজুরি বোর্ড, পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্সসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি তৈরি পোশাক কারখানাগুলো উন্নত করে গড়ে তোলা হয়েছে এবং বিল্ডিং ও ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। উন্নত ও কর্মবান্ধব পরিবেশও নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন অনেক গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। বিশ্বের ১০টি গ্রিন কারখানার মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে সাতটি। কাজের পরিবেশ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। উন্নত পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছেন।
এছাড়া সরকার দেশের শ্রম আইন সংশোধন করেছে। শ্রমিকরা এখন যেকোনো সময়ের তুলনার বেশি শ্রম অধিকার ভোগ করছেন। রানা প্লাজার পর দেশে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। শ্রমিক ও মালিকরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন।
ইইউর প্রতিনিধি দল জানায়, বাংলাদেশে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, বিল্ডিং ও ফায়ার সেফটি নিশ্চিতকরণ এবং কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে সন্তুষ্ট। এ দেশের তৈরি পোশাকের মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারা। পাশাপাশি পোশাকের দাম বাড়াতে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনাসহ এ খাতের সহযোগিতায় ইইউ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে জানান। বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে বলে জানান তারা।
এমইউএইচ/এএইচ/এমকেএইচ
Advertisement