৩৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নেত্রীর (আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আশীর্বাদ পেলে সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। সেই আশায়ই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি।
Advertisement
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ের বাইরে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিপ্রত্যাশী মধ্যবয়সী এক নারীনেত্রী জাগো নিউজের কাছে এভাবে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন >> ‘নারীরা সংসদ-সংসার দুটোই সামাল দিতে পারে’
বেলা আনুমানিক দেড়টায় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা ও ভেতরে একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যপ্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ভিড় সামাল দিতে মাইক থেকে বারবার সারিবদ্ধভাবে ভেতরে প্রবেশ করে টাকা জমা দিয়ে মনোনয়ন ফরম কেনার তাগিদ দেয়া হয়।
Advertisement
আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের নারীনেত্রীরা মনোনয়ন ফরম কিনতে রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে ছুটে এসেছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন ফরম বিক্রি হচ্ছে। যারা মনোনয়ন ফরম কিনছেন তারা কেউ বয়সে প্রবীণ, কেউ মধ্যবয়সী আবার কেউ অপেক্ষাকৃত তরুণী। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন পেয়ে স্বপ্ন জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে সবাই নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আশীর্বাদের অপেক্ষায়।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী বলেন, দলীয় সভানেত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই মনোনয়ন দেবেন। এ ব্যাপারে কারও দ্বিমত নেই। তবে বিভিন্ন সময়ে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদেরই মূল্যায়ন করবেন- এমন প্রত্যাশা সবার।
রাজধানীর হাজারীবাগ মহিলা আওয়ামী লীগেরে এক নেত্রী বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে দলের অনেকেই ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন। তবে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অধ্যাপিকা বাসুদা নুর খান চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত ১০ বছর বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পাশে থেকে রাজনীতি করেছেন। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার আশায় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানান।
Advertisement
আরও পড়ুন >> সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে আলোচনায় যেসব তারকা
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৩৫০ আসনের সংসদে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। ৩০০ আসনে সরাসরি ভোট হলেও সংরক্ষিত আসন বণ্টন হয় ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি চারটি, বিএনপি একটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে একটি সংরক্ষিত আসন পাবেন।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
এ নির্বাচনের ভোটের জন্য একটি দিন ধার্য করা হলেও ফল জানা যায় তার আগেই। ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমানসংখ্যক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এ কারণে প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
এমইউ/এমএআর/আরআইপি