জাতীয়

স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাকরি : ১০৮১ পদের বিপরীতে আবেদন প্রায় ৩ লাখ

সরকারি চাকরি যেন সোনার হরিণ। সেই সোনার হরিণ ধরতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের লাখো শিক্ষিত বেকার যুবক। কোথাও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়লেই নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে আবেদনের হিড়িক পড়ে যায়। শত শত আবেদন করে কারও কারও ভাগ্যে চাকরি মেলে, আবার কারও মেলে না। তবুও ‘সরকারি চাকরি’ নামক সোনার হরিণের পিছু অবিরাম ছুটে চলেন তারা।

Advertisement

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতর মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৮১টি পদে আবেদনপত্র আহ্বান করে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আমিরুজ্জামান মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে জানান, ১০৮১টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে মোট ২ লাখ ৯১ হাজার ২১ জন আবেদন করেছেন। পদের তুলনায় যা প্রায় ২৭০ গুণ বেশি।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আবেদনপত্রগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর পরবর্তীতে নিয়োগ কমিটি সভা করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পদগুলোর মধ্যে হেলথ এডুকেটরের ২টি পদে ৫৮ জন, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরের ৬টি পদে ১ হাজার ১৪৮ জন, পরিসংখ্যানবিদের ৩৮টি পদে ৪ হাজার ৩২০ জন, কিটতত্ত্বীয় টেকনিশিয়ানের ৪টি পদে ২৬১ জন, স্বাস্থ্য সহকারীর ৯৩৬টি পদে ২ লাখ ৩৮ হাজার ২২৫ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের ৩১টি পদে ৮ হাজার ৮৬ জন, স্টোর কিপারের ৫০টি পদে ২৭ হাজার ৮৩৮ জন, ওয়ার্ড মাস্টারের ১১টি পদে ৫ হাজার ৬১৭ জন, ডার্করুম সহকারীর ২টি পদে ২০৯ জন ও ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্টের ১৭টি পদের বিপরীতে মোট ৫ হাজার ৪৫৯টি আবেদন জমা পড়ে।

Advertisement

প্রসঙ্গত স্বাস্থ্য অধিদফতর সম্প্রতি সহস্রাধিক পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৭ জানুয়ারি। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার দু’দিন আগেই আবেদন গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাগো নিউজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্যদের দৃষ্টিতে বিষয়টি আসলে তারা বঞ্চিতদের আবেদনের সুযোগ করে দেন।

এমইউ/এমএমজেড/জেআইএম