আগের বারের ঠিক বিপরীত অবস্থা। ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিপিএলের পঞ্চম আসরের শুরু হয়েছিল সিলেটে। তারপর দ্বিতীয় পর্ব হয়েছিল রাজধানী ঢাকায়। এবার ষষ্ঠ আসরে বিপিএলের যাত্রা শুরু হয়েছে রাজধানী ঢাকা থেকে। দ্বিতীয় পর্ব হচ্ছে পুণ্যভূমি সিলেটে।
Advertisement
একটা বেশ উল্লেখ করার মত পার্থক্য চোখে পড়বে দুই বারের। আগের আসর হয়েছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। আর এবার শুরু হয়েছে নতুন ইংরেজি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারীতে। হয়তো ভাবছেন এটাই বুঝি একমাত্র পার্থক্য।
হ্যাঁ সময়ের পার্থক্য তো আছেই, এর বাইরে আরও পার্থক্য রয়েছে। গতবার সিলেটে হওয়া প্রথম পর্বে কর্তৃত্ব ছিল স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্সের। চার খেলায় তিন ম্যাচ জিতে সবার ওপরে ছিল সিলেট সিক্সার্স। আর এবার ঢাকায় হওয়া প্রথম পর্বে একচেটিয়া প্রাধান্য সাকিব বাহিনীর।
ঢাকা প্রথম পর্বে সবার ওপরে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। চার খেলায় শতভাগ সাফল্যে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে এক নম্বর খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা। খানিক চমক দেখিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মুশফিকুর রহিমের চিটাগাং ভাইকিংস। চার খেলায় তিন জয় আর একটি মাত্র হারে ছয় পয়েন্ট নিয়ে চিটাগাং ঢাকার পরই।
Advertisement
এরপর রয়েছে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রাজশাহী কিংস। এর মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী সমান চার ম্যাচে জয় পরাজয়ের পাল্লা সমান। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন রংপুর এক ম্যাচ বেশী খেলে দুই জয়ের বিপরীতে হেরেছে তিন খেলায়।
তারপর আছে ডেভিড ওয়ার্নারের সিলেট সিক্সার্স। তিন ম্যাচে এক জয় আর দুই হারে সিলেটের পয়েন্ট দুই। সবার নীচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। চার খেলায় সব ম্যাচ হারে দলটির সংগ্রহ ভান্ডার শূন্য।
অর্থাৎ সাত দলের আসরে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সই একমাত্র দল যারা সর্বাধিক পাঁচ ম্যাচ খেলেছে। তবে সিলেটে রংপুরের ম্যাচ কম, মোটে দুটি।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত যে পাঁচদিনের পর্ব হবে, তাতে সবচেয়ে বেশি চার ম্যাচ স্বাগতিক সিলেটের। তার মানে ডেভিড ওয়ার্নার, লিটন দাস ও সাব্বিরদের সিলেটে প্রতিদিন ম্যাচে আছে।
Advertisement
এছাড়া সিলেটে আগামী পাঁচ দিনের পর্বে ঢাকা, কুমিল্লা ও রাজশাহী খেলবে দুটি করে ম্যাচ। এ পর্বে তিনটি ম্যাচ আছে শুধু খুলনা টাইটান্সের। সিলেটে সবচেয়ে কম ম্যাচ চিটাগাং ভাইকিংসের। মুশফিক বাহিনী সিলেটে খেলবে শুধু একটি ম্যাচ।
সিলেট পর্বে আজও যথারীতি আছে দুটি ম্যাচ। বেলা দেড়টায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে থাকা খুলনা টাইটান্স ও রাজশাহী কিংস। আর সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
আগামীকাল বুধবার প্রথম ম্যাচে ঢাকার দেখা হবে রাজশাহীর সাথে। আর পরের ম্যাচটি খেলবে চ্যাম্পিয়ন রংপুর ও স্বাগতিক সিলেট। টানা দুদিন খেলার পর আগামী ১৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিরতি। ১৮ জানুয়ারী আবার সরব হবে সিলেট স্টেডিয়াম।
আগের বার সিলেট পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে দারুণ চমক দেখিয়েছিল সিলেট। এবার ঢাকা পর্বে শতভাগ সাফল্য দেখিয়েছে ঢাকা। স্বাগতিকদের এই প্রাধান্যর ধারা কি এবারো অব্যাহত থাকবে? যদি তা থাকে, তাহলে ডেভিড ওয়ার্নারে সিলেটের ভাগ্য খুলবে । দেখা যাক শেষ পর্যন্ত পুণ্যভূমি সিলেট এবার কাকে ফেবার করে?
এআরবি/এসএএস/জেআইএম