পায়রা বন্দরে অধিক ড্রাফটের জাহাজ আসা ও পূর্ণাঙ্গভাবে বন্দর চালু করতে রাবনাবাদ চ্যানেলে ক্যাপিটাল (জলপথ উদ্ধারে খনন) ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের (খনন) জন্য পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) চুক্তি হয়েছে।
Advertisement
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেলজিয়ামের জান ডি নুল প্রতিষ্ঠানের গঠিত পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে এ চুক্তি হয়।
সোমবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ চুক্তি হয়। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম এবং বেলজিয়ামের জান ডে নুল ড্রেজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান ডেভিড জনচিরি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আফসার এইচ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের কাজ সর্বমোট ৩৪ মাসে তিনটি ধাপে সম্পাদন করবে পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি। এ জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৮ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা।
নৌপরিবহন সচিব বলেন, ‘আশা করি জান ডি নুল নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ড্রেজিং কাজ শেষ করবে।’অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জোয়ারের সময় সর্বোচ্চ ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ পায়রা বন্দরের জেটিতে সরাসরি ভিড়তে পারবে। ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ও ৪০ হাজার টন ধারণক্ষমতার বাল্কবাহী জাহাজ বন্দরের জেটিতে সরাসরি ভিড়তে পারবে। এতে বন্দর অবকাঠামোসহ অন্যান্য কম্পোনেন্ট যেমন-কন্টেইনার, বাল্ক ও এলএনজি টার্মিনাল ইত্যাদি স্থাপনা নির্মাণের লক্ষ্যে আগ্রহী দেশ ও প্রতিষ্ঠান পায়রা বন্দরে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। বন্দরকেন্দ্রীক দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প অবকাঠামো গড়ে উঠবে এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে।
ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের ফলে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০ থেকে ১২৫ মিটার প্রস্থ এবং সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা পর্যন্ত চ্যানেল তৈরি হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং সমীক্ষার জন্য ১৪ মাস এবং ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে ১৪ মাস সময় লাগবে। এরপর ৬ মাস প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং এবং ৯ বছর ২ মাস রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বেলজিয়াম এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির সহায়তায় এইচএসবিসি এবং এর কনসোর্টিয়াম ব্যাংক থেকে পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেড গ্রহণ করবে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং শেষ হওয়ার ৬ মাস পর থেকে ওই অর্থ ২০টি সমপরিমাণ অর্ধ-বার্ষিক কিস্তিতে সুদসহ পরিশোধ করবে। চুক্তির বাকি বছরগুলোতে রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের জন্য উভয় পক্ষ অর্থায়নের উৎস খুঁজবে এবং অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রকল্প কোম্পানি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং করবে।
আরএমএম/এনডিএস/আরআইপি
Advertisement