আপনার কী হয়েছে? এখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো? মন্ত্রীর আকস্মিক আগমন ও এমন প্রশ্নে অবাক টাঙ্গাইল সদর এলাকার অসুস্থ মুরগি ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেন মিয়া। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই নিজের কষ্টের কথা জানান। পরে স্ত্রী দুলালী বলেন, ‘স্যার আপনি এসেছেন, কথাও বললেন, এখন এক্সট্রা কেয়ার পাব স্যার?’
Advertisement
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে এসে রোগীর এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হন নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন ও একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর আজ (সোমবার) হাসপাতাল পরিদর্শনে বের হন তারা। দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে পঙ্গু হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তারা।
Advertisement
কুশলবিনিময়ের সময় মন্ত্রী বলেন, আপনার হাতে কীভাবে চোট পেলেন, চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে কিনা? কোনো সমস্যা থাকলে জানতে চান মন্ত্রী।
উত্তরে মোয়াজ্জেন মিয়া বলেন, প্রতিবেশী শত্রুর আঘাতে ডান হাতে ফ্যাকচার হয়। এরপর সেখানে ইনফেকশন হওয়ায় হাতের কব্জি কেটে ফেলতে হয়েছে।
অসহায় মোয়াজ্জেনের এমন কথার মধ্যেই স্ত্রী দুলালী বলেন, স্যার এখন কি এক্সট্রা কেয়ার পাব? দ্রুত সুস্থ হওয়া দরকার। ওনার (স্বামী) অসুস্থতায় আটকে আছে সব কিছু। মন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বেরিয়ে যান।
পরে দুলালী বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্বামীর মুরগির ব্যবসা। হাত অকেজো হয়ে গেল। এখন ব্যবসা কী কোনো কাজই তো ঠিক মতো করা সম্ভব নয়। হাতের কব্জিটাই তো নেই। এমন অবস্থার মধ্যে সরকারি হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও খরচ তো কম হচ্ছে না। সচ্ছল সংসারেও টান পড়েছে। জানি না কপালে কি আছে। একটু যদি মন্ত্রীরে বইলা খরচা কমিয়ে দ্রুত সুস্থ করার ব্যবস্থা করতেন।’
Advertisement
জেইউ/এনডিএস/পিআর