যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শত্রু হিসেবে পরিচিত ইরান। সম্প্রতি একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশ দুটির বৈরি সম্পর্ক এখন চরমে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিদর্শক দল নাকি মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের কাছে ইরানে হামলার উপায় জানতে চেয়েছে।
Advertisement
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস সংলগ্ন একটি কূটনৈতিক অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠীর মর্টার হামলার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ঘটনার জেরে ইরানে এমন হামলার পরিকল্পনা করছে হেয়াইট হাউস।
রয়টার্সের ওই সূত্র বলছে, হোয়াইট হাউসের এমন অনুরোধের প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনও ইরানে হামলার ছক কষা শুরু করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এ ঘটনা নিয়ে প্রথম প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের নেতৃত্বাধীন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে উদ্ভূত তথ্যের ভিত্তিতে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে তারা।
আরও পড়ুন>> শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে তিন ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের
Advertisement
প্রতিবেদনটিতে হোয়াইট হাউসের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতির বরাত দেয়া হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটিতে বলা হচ্ছে, হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা পরিষদের এমন অনুরোধের পর নড়েচড়ে বসেছেন প্রতিরক্ষা সদর দফতর ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের কর্মকর্তারা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এটা এখনো স্পষ্ট নয় প্রতিরক্ষা সদর দফতর ইরানে হামলা সংক্রান্ত যে উপায় বের করেছে তা হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা পরিষদকে দেয়া হয়েছে কি না। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে কিছু জানেন কি না সেটাও বলা হয়নি তাদের প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন>> তরুণীকে ‘দৃশ্যম’ সিনেমার স্টাইলে হত্যা
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে ইরাকের বাগদাদের একটি কূটনৈতিক অঞ্চলে তিনটি মর্টার হামলার প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। কেননা বাগদাদের ওই কূটনৈতিক অঞ্চলে মার্কিন দূতাবাস অবস্থিত। যদিও সেই মর্টার হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।
Advertisement
এসএ/পিআর