বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রকৌশলীদের সড়ক মেরামত ও সংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর প্রধান, চলমান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) জোন প্রধানদের সভায় এ নির্দেশনা দেন। সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ কাজের গুণগতমান রক্ষার ওপরও গুরুত্ব দেন মন্ত্রী।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সড়ক-মহাসড়কের ওপর স্থাপিত কাঁচাবাজার ও ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদ করে মূল সড়ক উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজ সফলভাবে শেষ করতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে সড়কপাশের অবৈধ স্থাপনা সরানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া পৌরসভা এলাকায় মহাসড়কের পার্শ্ব আবর্জনামুক্ত রাখতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরকে কঠোর নির্দেশনা দেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যটনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি সড়কের বেইলি সেতুসমূহ প্রতিস্থাপনসহ চলমান নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে।’
Advertisement
ইতোমধ্যে দেশের প্রথম সীমান্ত সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সম্প্রসারণ করে ৩২ ফুটে উন্নীত করা হবে।’
পর্যটকদের সুবিধার্থে সৈকতসংলগ্ন সড়কে বাতি স্থাপন, বিভিন্ন পয়েন্টে বিশ্রামাগার নির্মাণের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভে পর্যটকদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
‘আগামী মাসে দ্বিতীয় সাসেক (সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকনোমিক কো-অপারেশন) সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এলেঙ্গা-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে জয়দেবপুর-এলেঙ্গা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ হতে চলেছে। আগামী জুনে নির্মাণকাজ শেষে সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূইয়া, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, সওজ অধিদফতরের জোন প্রধানরাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
আরএমএম/জেএইচ/পিআর