মাগুর মাছের ইংরেজি নাম ক্যাটফিশ। কিন্তু অনলাইন জগতে এই শব্দটির রয়েছে ভিন্ন একটি মানে। সামাজিক মাধ্যমে আরেকজনের ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে, সেসব দিয়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টিনডারে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করাকেই ইংরেজিতে বলে ক্যাটফিশিং।
Advertisement
মানে ওই অ্যাকাউন্টের নাম, সেখান ব্যবহার করা প্রোফাইল ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য সব আপনার, কিন্তু সেই অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে অন্য কেউ।
‘ক্যাটফিশিং’ থেকে বাঁচতে কী করবেন?
* পাসওয়ার্ড যেন কখনওই সহজ না হয়। স্পেশাল ক্যারেক্টার, ডিজিটস, ক্যারেক্টার মিলিয়ে পাসওয়ার্ড বেশ বড় রাখা জরুরিকিছুদিন অন্তর অন্তর নিজের পাসওয়ার্ড বদলাতে থাকুন। একই পাসওয়ার্ড বেশিদিন ব্যবহার না করাই ভালো।
Advertisement
* ফেসবুক, ই-মেইল, অ্যামাজন, টুইটারের মতো পরিষেবা ব্যবহার করার সময়ে সব সময় সাইনআপ নোটিফিকেশন চালু রাখতে হবে। তাহলে আপনি ছাড়া অন্য কেউ যদি আপনার এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে চায়, তাহলে আপনার কাছে সঙ্গে সঙ্গে নোটিফিকেশন চলে আসবে।
* পাবলিক ওয়াইফাই থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ, বেশিরভাগ পাবলিক ওয়াইফাইতেই হ্যাকাররা ওঁত পেতে বসে থাকে।
* লোভনীয় ই-মেইল দেখলে বুঝেশুনে পা বাড়ান। বিশেষ করে পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়া মেইলগুলি না খুলে ডিলিট করে দেয়াই ভালো।
* ইন্টারনেটের বিপদ থেকে বাঁচার জন্য অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাক্টিভেট এবং আপডেট থাকা জরুরি।
Advertisement
এরপরও ক্যাটফিশিংয়ের শিকার হলে তৎক্ষণাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীককে জানাতে হবে। আইনের দৃষ্টিতে ক্যাটফিশিং অপরাধ না হলেও সব দেশেই এখন পুলিশের সাইবার ইউনিট কাজ করে। এই ইউনিটের অন্যান্য কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে, অনলাইনে প্রতারণার কারণে ক্ষতির শিকার হলে তা প্রতিকারে কাজ করে এই বাহিনী।
সূত্র : বিবিসি
এমবিআর/জেআইএম