দেশজুড়ে

বদলে যেতে পারে চকরিয়ার মানচিত্র

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মাতামুহুরী নদীর দু’তীরের অব্যাহত ভাঙনে বদলে যেতে পারে চকরিয়ার মানচিত্র। ভাঙনের কারণে চকরিয়ার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের আনিছপাড়া জকরিয়া সড়কটি সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। সড়কটি যে কোনো মুহূর্তে নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, গত সপ্তাহের ভারি বর্ষণে চকরিয়া উপজেলায় চতুর্থ দফা বন্যা দেখা দেয়। রোববার অতিরিক্ত বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে গত তিন দফা বন্যার তুলনায় এবারের বন্যায় পানির উচ্চতা অনেকটা কম ছিল। ফলে জানমাল ও সহায় সম্পদের ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। কমেছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও। বন্যার পানি কমে যাওয়ায় মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে মাতামুহুরী নদী তীরবর্তী চকরিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, কৈয়ারবিল, কোনাখালী, পূর্বভেওলা ও ফাশিয়াখালী ইউনিয়নের বেশির এলাকায় নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। অনেক স্থানে নদীর দুই তীর ভাঙতে ভাঙতে অভ্যন্তরীণ সড়ক ও রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এমনকি ওই সকল ইউনিয়নের তিন দফা বন্যায় শতশত ঘর-বাড়ি নদীতে ভেসে গেছে। দ্রুত সময়ে মাতামুহুরী নদীর ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নিলে দুই তীরের কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এতে অনেকটা বদলে যাবে চকরিয়ার মানচিত্র। পরিবর্তন হবে ভৌগোলিক অবস্থান। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে মাতামুহুরী নদীর গতিপথও পরিবর্তনের হওয়ার আশঙ্কা করছেন দুই তীরের বাসিন্দারা। অপরদিকে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের আনিছপাড়ার চকরিয়া সড়কটি। বর্তমানে জকরিয়া সড়কটির বিভিন্ন পয়েন্টের ৪টি স্থানে প্রায় ৭শ মিটার এলাকা নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত বা সংস্কার কাজ না করলে ওই ইউনিয়নসহ আরো তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার ঘর-বাড়ি নদীতে তলিয়ে যাবে। এছাড়া কৃষকের শতশত একর জমির শাক সবজি ধ্বংস হয়ে যাবে। পূর্বভেওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইব্রাহিম খলিল জানান, এবারের তিন দফা বন্যায় তার ইউনিয়ন মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভেঙে গেছে ঘার-বাড়ি। ক্ষতি হয়েছে কৃষকের আবাদি জমি ও বিভিন্ন ফসলাদি। তিনি আরো জানান, সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বেতুয়াবাজারের জকরিয়া সড়কটি। অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়েছে এই সড়কটি। বেশিরভাগ এলাকা নদীতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার না করলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে তার ইউনিয়নের জনগণ। ক্ষয়-ক্ষতির সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলম এমএ জানান, এ সকল ব্যাপার সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বার বার তাগাদা দেয়া হচ্ছে। সায়ীদ আলমগীর/এসএস/এমএস

Advertisement