আন্তর্জাতিক

তামিল পুনর্বাসন শুরু করেছে শ্রীলংকা

তামিলদের পুনর্বাসন শুরু করেছে শ্রীলংকা। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শ্যামপুর গ্রামে (কলম্বো থেকে ২৭৫ কিমি. দূরে) গত শনিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এ পুনর্বাসনের কাজ উদ্বোধন করেন।গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে উদ্বাস্তু হওয়া ২৩৪ পরিবারের কাছে এদিন তাদের জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা নিজে ২৫টি পরিবারের কাছে তাদের দলিল তুলে দেন। অনুষ্ঠানে নিজেদের সমস্যার কথা প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরেন জনগণ। তারা বিদ্যুৎ ঘাটতি, স্যানিটেশন সমস্যা ও অবকাঠামোগত অসুবিধার কথা জানান। এ সময় সিরিসেনা সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেকে নির্দেশনা দেন। স্থানীয় সরকারি অফিসের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, জোরপূর্বক উদ্বাস্তু হওয়া ৮২৫ পরিবারের মধ্যে ২০৫ পরিবার শ্যামপুরে তাদের জমিতে ফিরে এসেছে।শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংয়ের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির পুনর্বাসন ও সহাবস্থান দফতরের প্রধান ডিএম স্বামীনাথ বলেন, যুদ্ধোত্তর সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭৫ হাজার ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।এদিকে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনাকে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার অনুরোধ করেছেন কিনিয়া অঞ্চলের জনগণ। সিরিসেনা কিনিয়া সফর করে জনগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এ অনুরোধ জানানো হয় বলে প্রেসিডেন্টের মিডিয়া ইউনিট জানিয়েছে।কলম্বোর আদাদেরানা পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়।শ্রীলংকার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহেন্দা রাজাপাকসের শাসনামলে তামিল বিদ্রোহীদের কঠোর হস্তে দমনের সময় এক সরকারি গেজেট ঘোষণায় ৮১৮ একর জমি বিনিয়োগ বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসব জমির অনেকাংশেই সেনাবাহিনীরা ঘাঁটি গাড়ে। আট মাস আগে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ক্ষমতায় আসার পর সরকারের কাছ থেকে এ জমি নিয়ে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। পুনর্বাসন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বলেন, ‘জনগণের কল্যাণ ছাড়া আমরা কোনো উন্নয়ন আশা করতে পারি না।যুদ্ধের বীভৎসতা তামিলদের চেয়ে আর কেউ জানে না।’ এসময় দেশটির উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় তামিলদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন সিরিসিনা। তামিলদের পুনর্বাসন ও সম্প্রীতি দেখাশোনা করতে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গড়ার কথাও বলেন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমি এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে সব সম্প্রদায়ের মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লোকদের সমস্যা সমাধান করতে ও তাদের প্রয়োজন পূরণ করতে আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখভাল করছি। আমি দেশকে শান্তির পথে চালিয়ে নিতে চাই। এখানে সব নাগরিক সমানাধিকার ভোগ করবে।’এসএইচএস/এমএস

Advertisement