জাতীয়

স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন অব্যাহত রাখা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অতীতের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন করে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে জনবলের নিয়মিত উপস্থিতি, যন্ত্রপাতির সঠিক পরিচর্যা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। হাসপাতালে রোগীদের সেবার মান উন্নয়নে এ সেল ভূমিকা রাখবে।’

সচিবালয়ে রোববার বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর সময় এসব কথা বলেন জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে রাজধানী থেকে শুরু করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপিত হয়েছে। ১০ হাজার চিকিৎসক এবং ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে জনবল সঙ্কট অনেক নিরসন করা হয়েছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সেবার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে যন্ত্রপাতি ক্রয়, জনবল বদলি ও পদোন্নতিসহ সেবাদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রণীত নীতিমালা কঠোরভাবে অবলম্বন করার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘গত পাঁচ বছর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রণালয়ের সব কর্মসূচির গভীরে গিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। গতানুগতিকতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এবার পূর্ণমন্ত্রী হিসেবেও সব সময় সৃষ্টিশীল কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে।’

এক্ষেত্রে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রতি বিভাগে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের পাশাপাশি জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার ইউনিট স্থাপনে উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, ‘ক্যান্সার প্রতিরোধে জীবনাচারনে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের ওপর আগামীতে গুরুত্ব দেয়া হবে। বিদ্যালয়ভিত্তিক স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রমের ওপর অধিক জোর দেয়া হবে।’

Advertisement

এ সময় হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানখিন, সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব, জান্নাতুল বাকেয়া কেকা, শিশির মোড়ল, নেছার আহমেদ, মইনুল হাসান সোহেল, দিলারা হোসেন, আইনাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ফোরামের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

এ ছাড়াও এদিন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন বিভাগ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

এমইউ/এনডিএস/পিআর