আইন-আদালত

সাউথইস্ট ব্যাংকের ২ কর্মকর্তার নাম অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ

বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর রাইজিং গ্রুপকে দেয়া ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হালিশহর শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপকের নাম অভিযোগপত্রে (চাজশিটভুক্ত) অন্তর্ভুক্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

একই সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করেছেন আদালত। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ কাওসার আলম।

খুরশীদ আলম খান বলেন, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিনের বিষয়ে রুল খারিজ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে দুর্নীতির মামলায় দুই ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়ার জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়া অভিযোগপত্র থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়ার কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেন আদালত।

Advertisement

আমিন উদ্দিন মানিক জানান, পুরনো জাহাজ আমদানি ও রিসাইক্লিং করতে ২০১০ সালে রাইজিং গ্রুপকে বড় ঋণ দেয় সাউথইস্ট ব্যাংকের হালিশহর শাখা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকটির পাওনা ১৩৫ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার ২৮৮ টাকা।

দুদকের অভিযোগ, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের টাকা আত্মসাত করেছেন। ওই অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর নগরীর হালিশহর থানায় আসলাম চৌধুরী, তার স্ত্রী রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের চেয়ারম্যান জামিলা নাজনীন মাওলা, ছোট ভাই ও একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমজাদ হোসেন চৌধুরী, পরিচালক জসীম উদ্দিন চৌধুরী, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আলম এবং ব্যাংকটির চট্টগ্রামের হালিশহর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানকে (সাব্বির) আসামি করে দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন মৃধা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আলম ও হালিশহর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য চারজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এর মধ্যে আসলাম চৌধুরী জামিন আবেদনের পর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানিকালে বিষয়টি কোর্টের নজরে আসলে গত ৫ ডিসেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন মৃধাকে হাইকোর্টে তলব করা হয়। ১৩ ডিসেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হন কিন্তু সঠিক জবাব দিতে না পারায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আদালত। এ বিষয়ে দুদক ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আলাদাভাবে হলফনামার মাধ্যমে জবাব দিতে বলা হয়।

Advertisement

তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদক জবাব দাখিল করলে রোববার হাইকোর্ট রায় দেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।

এফএইচ/এমএআর/জেআইএম