সাহিত্য

দেওয়ান শামসুর রকিবের তিনটি কবিতা

স্মৃতি : ২৭ বছর আগে

Advertisement

সেই দিনটি আজও মনে পড়ে.. প্রথম দেখার কথাটি আজও ভুলিনি আমি... সেদিন ৩২ নম্বরের উঠানে গাছের আড়াল থেকে ঝকঝকে রৌদ্র খেলা করছিল আমরা এগিয়ে গেলাম পাশে রান্নাঘর আর একঝাঁক বিভিন্ন রঙের কবুতর আমরা এগিয়ে গেলাম মোজাইক করা ফ্লোর দিয়ে আমরা এগিয়ে গেলামযেই বাড়িতে, যেই মেঝেতে, প্রতিটি রুমে রুমে বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস হয়ে আছে...আমরা এগিয়ে গেলামনিচতলার লাইব্রেরিটা শোভা পাচ্ছিল বই আরবঙ্গবন্ধুর প্রিয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ছবি আমরা এগিয়ে গেলামসব জায়গায় বা ঘরগুলোতে তখন যাওয়া যায় না কারণ ঘাতক বুলেটের নির্মমতা মিশ্রিত স্মৃতিচিহ্ন হৃদয়ে, করোটিতে, দৃশ্য-অদৃশ্য এখানে সেখানে আমরা এগিয়ে গেলামআমাদের প্রতিজনের হাতে কিছুকিছু দ্রব্যসামগ্রী বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য জননেত্রীগণতন্ত্রের মানসকন্যা নানা বিশেষণ নয়আমাদের প্রাণপ্রিয় হাসিনা আপার কাছে উপস্থিত শহর আর দেশব্যাপি আগত নেতা-কর্মীদের ভীড়ে আমরা এগিয়ে গেলামএতটা পথ পাড়ি দিয়ে আশা... হৃদকম্পন হচ্ছে খুব... প্রথম, সেই প্রথম খুব কাছ থেকে দেখা...যার জন্য অপেক্ষার প্রহর, অনেক দিনের অনেক মাসের, অনেক বছরের হঠাৎ উপলব্ধি হল প্রচণ্ড কান্না পাচ্ছে আমার... আশেপাশে কেউ কামাল... কেউ জামাল হয়ে মিশে আছে যেন...আর ঠিক তখনই আমি রাসেল হয়ে যাই... ‘আমরা আছি লাখো ভাইহাসিনা তোমার ভয় নাই।।’

****

কবিতা লেখা

Advertisement

মূলত ছায়াকে ঘিরে আছে নিদারুণ উজ্জ্বলতাকথাটি বুঝতে পার হয়ে গেলো সহস্র ঘণ্টা।আগুনে হাত দিলে হাতকে একটু পোড়াতে হয়;মূলত তোমাকে পাওয়ার পর এই কবিতা লেখা।

****

উদ্বিগ্নতা

আমাকে ক্রমশ গ্রাস করছেউদ্বিগ্নতাবাতাসে উড়াল ঘুড্ডি আর লাটাইয়েরউত্তালে ঢালাও ছিলো দু’চোখকেটে যাওয়া ঘুড্ডির হাহাকারবাজলো বুকে চরাচরভেসে বেড়াবার আনন্দথমকালো চোখ আর সম্মুখেহন্তারক হয়ে জ্বলে কালিমাখা অন্ধস্রোত।স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবতা আনেরুদ্ধদ্বারে থেমে থাকে মূর্ছনা।

Advertisement

এসইউ/পিআর