বিনোদন

‘হঠাৎ করেই অভিনেত্রী অহনার গাড়িতে ধাক্কা লেগে যায়’

‘আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। চলতি পথে অভিনেত্রী অহনার গাড়িতে হঠাৎ করেই আমার গাড়ির ধাক্কা লেগে যায়। এতে সে আহত হয়। ইচ্ছাকৃত ভাবে আমি তার গাড়িতে ধাক্কা দেইনি।’

Advertisement

রোববার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন অভিনেত্রী অহনাকে ট্রাক লাগিয়ে আহত করা সেই চালক সুমন। জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন চালক সুমনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেবর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে শনিবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন বিকালে চালকের সহকারী মো. রোহান (১৬) ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। রোহান কিশোর হওয়ায় তাকে গাজীপুর কিশোর উন্নায়ন কেন্দ্র পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। শুক্রবার আশুলিয়া এলাকা থেকে রোহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

অহনার পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৮ জানুয়ারি খালাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে অহনা উত্তরায় নিজ বাসভবনের ফিরছিলেন। উত্তরার কাবাব ফ্যাক্টরি থেকে কিছুটা সামনে সাত নম্বর সেক্টরের পূর্ব মাথায় একটি বেপরোয়া গতির পাথর বোঝাই ট্রাক সজোরে ধাক্কা দিয়ে অহনার প্রাইভেটকারের ক্ষতি করে। অহনা নিজের কারের ক্ষতি হয়েছে দাবি করে ট্রাক ড্রাইভারকে নামতে বললে ইচ্ছাকৃতভাবে আবারো অহনার কারটিকে জোরে ধাক্কা দেয় চালক।

এ অবস্থায় অহনা ট্রাকের দরজা ধরে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিতে থাকে। কিন্তু উত্তরার ১২.১৩ মোড়ের দিকে অহনাকে ওই অবস্থাতেই ট্রাকে করে টেনে নিয়ে জোরে ব্রেক করে ট্রাক থেকে ফেলে দেয়। রাস্তায় থাকা পাথরের উপর অহনা ছিটকে পড়ায় গুরুতর আহত হন।

ঢাকা মেট্রো ট ১৫-১৮২৬ নম্বরের ট্রাক ফেলেই চালক যখন পালিয়ে যায় তখন রাত প্রায় ৪টা। পরে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের সহযোগিতায় ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

পরে অহনার ছোট বোন লিজা মিতু বাদী হয়ে গত ৯ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন- যার নং ২৩০ (৫) ১। এরইমধ্যে ট্রাকের মালিক পক্ষ থেকে অহনা ও তার পরিবারকে নানান হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানান অহনা।

Advertisement

তিনি বলেন, ০১৮৮৪১২৩৩৪৪ নম্বর থেকে পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

জেএ/এএইচ/এমকেএইচ