পাকিস্তানের গোয়াদার গভীর সমুদ্রবন্দরে ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সৌদি আরব। ভারত মহাসাগরের কাছে পাকিস্তানের এই বন্দরের উন্নয়নযজ্ঞ এগিয়ে চলছে চীনের সহায়তায়; শনিবার সেই বন্দরে দাঁড়িয়ে সৌদি আরবের জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisement
আর্থিক দূরাবস্থা ও ঘাটতি মোকাবেলায় বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অন্যান্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে আসছে পাকিস্তান। দেশটিতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাজেট ঘাটতিও দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি সামলাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত সপ্তাহেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী আমিত থেকে স্বল্প সুদে ও দামে জ্বালানি তেল এবং গ্যাস আমদানি করবে পাকিস্তান।
গত বছর পাকিস্তানে ৬ বিলিয়ন ডলারের অপরিশোধিত তেল রফতানির একটি প্যাকেজ প্রস্তাব করেছিল সৌদি। সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ বলেছেন, তেল শোধনাগার স্থাপন ও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্থিতিশীলতা করতে চায় সৌদি আরব।
তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নতুন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পাকিস্তান সফরে আসবেন। সৌদি আরব পাকিস্তানের অন্যান্য প্রকল্পেও বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন খালিদ আল ফালিহ।
Advertisement
পাকিস্তানের জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী গোলাম সারওয়ার খান বলেছেন, গোয়াদারে তেল শোধনাগার স্থাপনের মাধ্যমে সৌদি আরব সিপেকের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারে পরিণত হবে।
পরিশোধন, পেট্রোকেমিক্যাল, খনি ও পুনর্নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপারে পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম ও সমুদ্রকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী আলী জাইদির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন সৌদি ওই মন্ত্রী।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/এমকেএইচ
Advertisement