বিপিএলে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই একের পর এক বিস্ময় উপহার দিচ্ছেন রাজশাহী কিংস অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এবারের বিপিএলে সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক তিনি। যে কারণে প্রতিপক্ষের অধিনায়কের সঙ্গে টস করতে নামার পর তাদের কাছ থেকে স্নেহ-ভালোবাসাই পেয়েছেন বেশি। যদিও খেলার মাঠে তার ছিটে-ফোটাও ছিল না।
Advertisement
প্রথম ম্যাচে মিরাজ মুখোমুখি হয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটসের। ওই ম্যাচে এক হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের ব্যাঠিং তান্ডবে উড়ে গেছে মিরাজের রাজশাহী। পরের ম্যাচে খেলতে নামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে। এই ম্যাচে ৭ উইকেটের দারুণ এক জয় পায় রাজশাহী।
খুলনার বিপক্ষেই চমক লাগানো ব্যাটিং করেন মেহেদী মিরাজ। সাত নম্বর থেকে এক ধাক্কায় নিজেকে তুলে আনেন তিন নম্বরে। তাতে দারুণ সফল মিরাজ। বিপিএলে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম হাফ সেঞ্চুরিটা তিনিই উপহার দিলেন। খেলেছিলেন ৪৫ বলে ৫১ রানের দারুণ এক ইনিংস।
পরের ম্যাচ খেলেন তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নিজেকে আরও একধাপ উপরে তুলে নিলেন মিরাজ। মুমিনুল হকের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তনই করতে নামেন তিনি। এবারও সফল তিনি। ৩ রান করে মুমিনুল আউট হয়ে গেলেও ১৭ বলে ৩০ রানের ঝড় তুলে দিয়ে যান তিনি। যদিও মিরাজের দল হেরে গিয়েছিল ৫ উইকেটের ব্যবধানে।
Advertisement
আজ মিরাজের দল রাজশাহী কিংস এবারের বিপিএলে চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নেমেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছে মিরাজের রাজশাহী। যথারীতি মুমিনুল হকের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
কিন্তু আজ আর ব্যাট হাতে কোনো চমক দেখাতে পারেননি। জাতীয় দলে তার আইডল কিংবা গুরু- যাই বলা হোক না কেন, মাশরাফি বিন মর্তুজাকেই প্রথম মোকাবেলা করেন মিরাজ এবং প্রথম বলেই আউট। মাশরাফির বলকে ফ্লিক করতে গিয়েই শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন। সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ ধরেন শফিউল ইসলাম। অথ্যাৎ প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন মিরাজ। মারলেন গোল্ডেন ডাক।
আইএইচএস/এমএস
Advertisement