প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে আজ থেকে এক শতাব্দীরও বেশি সময় আগে। ১৯১৪ সালে ইউরোপে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ ‘বিশ্বযুদ্ধ-১’ কিংবা ‘গ্রেট ওয়ার’ নামে পরিচিত। চার বছরের দীর্ঘ এই বৈশ্বিক যুদ্ধে জার্মানি ছিল কেন্দ্রীয় শক্তি। আর যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান ও ইতালিকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল মিত্রশক্তি। শতাব্দী প্রাচীন সেই যুদ্ধের সময় ডুবে যাওয়া একটি সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ ভেসে উঠলো ফ্রান্সের সমুদ্র সৈকতে।
Advertisement
বিবিসির এক প্রতিবেদনে দেয়া তথ্য মতে, ফ্রান্সের উত্তর উপকূলীয় একটি সমুদ্র সৈকত থেকে ভেসে উঠেছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির ডুবে যাওয়া ইউসি-৬১ নামের একটি সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ। গত একশ বছর ধরে সমুদ্রের বালির নিচে ছিল সেটি।
ফ্রান্সের অন্যতম বন্দর শহর ক্যালাইসের কাছে অবস্থিত সমুদ্র তীরবর্তী উইসেন্ট নামক স্থানে ইউসি-৬১ নামের ওই সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ ভেসে উঠেছে। আর তা দেখতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার দর্শণার্থী। জানা গেছে, ১৯১৭ সালের জুলাইয়ে বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মানির এই সাবমেরিনটি সমুদ্রে ডুবে যায়।
বালির নিচ থেকে ধীরে ধীরে উপরে উঠে আসা এ সাবমেরিনটি দেখতে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় বাড়লেও এটি ফের অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন উইসেন্টের মেয়র বার্নার্ড বাজ। গত ডিসেম্বর থেকে সাবমেরিনটির দুটি অংশ দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
উইসেন্টের মেয়র বার্নার্ড বাজ বলেন, ‘প্রতি দুই থেকে তিন বছর পরপর এই সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। এটা নির্ভর করে স্রোত এবং বালি সরানো বাতাসের ওপর। কেননা বাতাসের ধাক্কায় সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষটি পুনরায় হারিয়ে যেতে পারে।
ঐতিহাসিকেরা বলছেন, জার্মানির ইউসি-৬১ নামের এই সাবমেরিনটি বিশ্বযুদ্ধের সময় মাইন বিস্ফোরণ ও টর্পেডো ছুড়ে প্রতিপক্ষের এগারোটি জাহাজ ডুবিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত এটি বেলজিয়াম থেকে ফ্রান্স যাওয়ার পথে ডুবে যায়। পরে সাবমেরিনটির ২৬ জন ক্রু ফ্রান্সের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
এসএ/এমএস
Advertisement