সাতদিনের জন্য মহাকাশে যে তিন জনকে পাঠাবে ভারত, তাদের মধ্যে থাকবেন এক নারীও। আগামী তিন বছরের মধ্যে তাদের মহাকাশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) চেয়ারম্যান কে সিভান।
Advertisement
একই সঙ্গে একটি ‘দুঃসংবাদ’ও দিয়েছেন তিনি। আর তা হলো, কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানকে ঘিরে। তাই ‘চন্দ্রযান-২’-এর উৎক্ষেপণ ফের পিছিয়ে যাচ্ছে। খুব সম্ভবত ‘চন্দ্রযান-২’-এর উৎক্ষেপণ হবে এপ্রিলের শেষ দিকে।
১০ বছর আগে চাঁদে প্রথম চন্দ্রযান পাঠানো হয়। ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে দ্বিতীয় চন্দ্রযান পাঠানোর কথা ভারতের। প্রযুক্তিগত কারণে গত বছরের মার্চ থেকেই পিছিয়ে যেতে থাকে তার উৎক্ষেপণ।
ভারতের এ অভিযান সফল হলে দেশটি হবে মহাকাশে মানুষ পাঠানো বিশ্বের চতুর্থ দেশ। অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘গগনযান।’
Advertisement
সিবান জানিয়েছেন, ‘গগনযান’ অভিযানে যে তিনজনকে পাঠানো হবে, তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ হবে ভারতেই। পরে তাদের উন্নততর প্রশিক্ষণ দেয়া হতে পারে রাশিয়ায়।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সময় ঘর্ষণের ফলে রকেটে আগুন লাগার আশঙ্কা থাকে। সেই রকম পরিস্থিতি এড়াতে এবার রকেটে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ইসরো। যাতে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে আগুন লাগলেও, তা ছড়িয়ে না পড়ে।
যে কেউ-ই এ অভিযানের অংশ হতে পারেনে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যোগ্যতমকে বেছে নেয়া হবে।’
ইসরোর বানানো সবচেয়ে বড় রকেট জিয়োসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-থ্রি (জিএসএলভি মার্ক-থ্রি)। এ রকেটেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশে মানুষ পাঠানো হতে পারে।
Advertisement
এনএফ/এমএস