আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট থেকে সরকারে মন্ত্রী না করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শরিকদলগুলোর নেতাকর্মীদের মাঝে। শরিক দলগুলো থেকে সংসদে চারটি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। দলগুলো থেকে বিগত সরকারে চারজনকে মন্ত্রী করা হলেও নতুন মন্ত্রিসভায় তাদের কারও স্থান হয়নি। তবে শরিক দলগুলো জাতীয় সংসদে ‘সক্রিয় ভূমিকা’ পালন করতে পারে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোট নেতা ও বিভিন্ন সূত্রে এমন ইঙ্গিত মিলেছে।
Advertisement
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া ভাষ্য অনুযায়ী, বিগত সরকারে জাতীয় পার্টি থেকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। তবে জাতীয় পার্টি ওই সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকায় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে তাদের ভূমিকা অনেকটাই নিষ্ক্রিয় বা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি স্বেচ্ছায় বিরোধী দলের স্থানে থেকে কার্যকর ভূমিকা পালন করার অভিব্যক্তি তুলে ধরেছে। পাশাপাশি দলটির চেয়ারম্যান এক চিঠিতে মন্ত্রিত্ব না নেয়ার কথাও বলেছেন। সেদিক থেকে জাতীয় পার্টির বিরোধী দলের ভূমিকা অনেকটাই সক্রিয় ও স্পষ্ট হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই সকল সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট একটা আদর্শিক জোট। বিগত সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনাও করেছেন জোটের শরিক নেতাদের কেউ কেউ। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় না থাকলেও নিজ নিজ দলের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে সংসদে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার ভূমিকা নিতে পারে শরিক দলগুলোর নেতারা। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিসভায় স্থান পেলে শক্তিশালী ভূমিকা নেয়ার বিষয়টি অনেকটাই সংকুচিত হয়ে পড়তো বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
জাতীয় সংসদে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার ভূমিকার বিষয়ে ১৪ দলীয় জোটের অন্তত তিনজন শীর্ষ নেতা ও সংসদ সদস্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন। তারা বলেছেন, অবশ্যই সংসদে একটু ভিন্ন অবস্থান নেয়া যেতে পারে।
Advertisement
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ওয়ার্কার্স পার্টির তিনজন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ থেকে দুইজন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন থেকে একজন, বাংলাদেশ জাসদ থেকে একজন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের দুইজন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নির্বাচিত হয়েছেন।
১৪ দলীয় জোটভুক্ত এসব সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে কার্যকর ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারেন। পাশাপাশি জাতীয় পার্টির ২২ জন সংসদ সদস্য মিলে ৩০ জনের একটি বিরোধীপক্ষ সংসদকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জাগো নিউজকে বলেন, অবশ্যই সংসদে ইতিবাচক ভূমিকা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটভুক্ত হলেও জাতীয় সংসদে পৃথক ভূমিকা নেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
Advertisement
এইউএ/বিএ/আরআইপি