খেলাধুলা

রুদ্ধশ্বাস টাইয়ের পর সুপার ওভারে জয় চিটাগংয়ের

মিরপুর শেরে বাংলায় পয়সা উসুল এক ম্যাচ দেখলেন দর্শক-সমর্থকরা। বিপিএলে উত্তেজনা নেই বলে বলে যারা কান ঝালাপালা করে ফেলছিলেন, তাদের মুখে তালা দেয়ার মতো ক্রিকেটই উপহার দিল খুলনা টাইটান্স আর চিটাগং ভাইকিংস। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ যেমন হওয়ার দরকার তেমনই হলো। সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে দর্শকরা পেলেন সুপার ওভারের রোমাঞ্চ।

Advertisement

টস জিতে খুলনা টাইটান্সকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চিটাগং ভাইকিংস। ডেভিড মালান আর মাহমুদল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ভর করে খুলনা তুলতে পেরেছিল ৬ উইকেটে ১৫১ রান। মালান ৪৩ বলে করেন ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে ৩৩। এছাড়া ১৫ বলে ২০ রানের একটি ইনিংস খেলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী।

জবাবে ইয়াসির আলির (৩৪ বলে ৪১) আর মুশফিকুর রহিমের (২৬ বলে ৩৪) ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর একটা সময় জয়টা বলতে গেলে হাতছাড়া হওয়ার মতো অবস্থা ছিল চিটাগংয়ের। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ১৯ রান, বেশ কঠিন কাজই বটে!

আরিফুল হকের ওই ওভারে নাঈম হাসান একটি আর ফ্রাইলিংক দুটি ছক্কা হাঁকান। তবে আরিফুল মার খেলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়েছেন। নাঈম ছক্কা মারার পরের বলেই আউট। আর ফ্রাইলিংক দুই ছক্কা হাঁকানোর পর শেষ বলে মাত্র দরকার ছিল ১ রান।

Advertisement

কিন্তু ওই বলটি দারুণ বুদ্ধিমত্তায় স্লোয়ার করে মিস করিয়ে দেন আরিফুল। সানজামুল অপর প্রান্ত থেকে দৌঁড় দিলেও ফ্রাইলিংক রানটা পূরণ করতে পারেননি। খুলনার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৫১ রানে। ফলে ম্যাচ হয়ে যায় টাই। বিপিএলও প্রথমবারের মতো পায় সুপার ওভারের দেখা।

খুলনার হয়ে সুপার ওভারটি করেন জুনায়েদ খান। চিটাগং ভাইকিংসের ব্যাটসম্যান ছিলেন ফ্রাইলিংক আর ক্যামেরুল ডেলপোর্ট। বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেন ডেলপোর্ট। পরের বলে আসে এক রান। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান ফ্রাইলিংক। পরের বলেই তাকে বোল্ড করে দেন জুনায়েদ। শেষ দুই বলে মুশফিকুর রহিম আর ডেলপোর্ট দুটি সিঙ্গেল নিলে চিটাগংয়ের রান দাঁড়ায় ১১।

চিটাগংয়ের হয়ে সুপার ওভারটিও করতে আসেন ফ্রাইলিংক। খুলনার হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন কার্লোস ব্রেথওয়েট আর ডেভিড মালান। ব্রেথওয়েট প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন। পরের দুই বলে একটি বাউন্ডারি আর দুই রান নেন মালান। ফ্রাইলিংকের পঞ্চম বলটি মালান মিস করে দৌঁড় দিলে রান আউটের কবলে পড়েন ব্রেথওয়েট। উইকেটে আসেন পল স্টারলিং।

পঞ্চম বলে দুই রান নিতে পারেন স্টারলিং। শেষ বলে খুলনার দরকার ছিল ৩ রান। কিন্তু ফ্রাইলিংকের ওয়াইড লাইনের কাছাকাছি বলটি এগিয়ে গিয়েও মিস করে বসেন স্টারলিং। বাই নিতে গিয়ে হন রানআউটের শিকার।

Advertisement

এমএমআর/আরআইপি