দেশজুড়ে

সুবর্ণচরে গণধর্ষণ : হেঞ্জু মাঝি পালিয়ে হন বাসচালকের সহকারী!

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের রাতে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি (২৯)। তিনি সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যমবাগ্যা গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।

Advertisement

শুক্রবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে এই মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, চাঞ্চল্যকর এই মামলায় পুলিশের তদন্ত এবং ভুক্তভোগী ও ইতোমধ্যে গ্রেফতার আসামিদের জবাদবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে হেঞ্জু মাঝির নাম উঠে আসে। ঘটনার পর তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী বাসে চালকের সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেন। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, সাত আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

Advertisement

এদিকে বৃহম্পতিবার আসামি মুরাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন নোয়াখালী ২ নং আমলি আদালতের বিচারিক হাকিম নব নীতা গুহ। একই আদালতে রিমান্ডে থাকা আসামি স্বপন ও বেচু মিয়া ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে মামলার প্রধান আসামি সোহেল ,জসিম, আবুল হোসেন, ছালাউদ্দিনও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দ দেন।

মিজানুর রহমান/জেডএ