পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবি ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয় থেকে ২০.০২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় (১৬৫ কোটি) টাকা আত্মসাতের মামলায় মো. সাইফুল হকের পাসপোর্ট ফেরতের আবেনদ খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের রুলের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খারিজ করে আদেশ দেন।
Advertisement
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
ঘটনরা বিবরণে দেখা যায় ভুয়া অফসর কোম্পানিতে বিনিয়োগের আড়ালে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ওই বিনিয়োগের জন্য কনসালটেন্সি ফি বাবদ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার সর্বমোট ২০.০২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬৫ কোটি টাকা) এবি ব্যাংক লিমিটেড এর অফসোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ), শাখা, ইপিজেড চট্টগ্রাম হতে দুবাইতে পাচার করে ওই পাচারকৃত অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করে আত্মসাৎ করে।
পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী মো. সাইফুল হক দুবাইতে অবস্থানকারী আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের সদস্য খুররম আবদুল্লাহ ও আবদুস সামাদ খানের পরিচিত ও বন্ধু ও এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকের পূর্ব পরিচিত। তিনি টাকা আত্মসাতের জন্য মিডিয়া ম্যান হিসেবে কাজ করেন।
Advertisement
বিষয়টি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারী মতিঝিল থানায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট এই বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন।
এফএইচ/এসএইচএস/জেআইএম