সাড়ে সাত বছরেরও বেশি আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি দুই নাগরিককে (তানজিন বৃষ্টি ও নাহিদ সুলতানা) হয়রানি-নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ চেয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ইতিহাদ এয়ারওয়েজকে বিমানবন্দরের সিসিটিভির ওই ভিডিও ফুটেজ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিকে দেয়ার দির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে, ভিডিও ফুটেজ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ বিষয়ে শুনানি এবং আদেশ দেয়ার জন্য আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এক রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই নির্দেশনা দেন।
Advertisement
আদালতে আজ মামলার বাদী তানজিন বৃষ্টির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
২০১১ সালের ২৮ জুন কানাডায় যাওয়ার পথে ওই হয়রানির ঘটনা ঘটে। আবুধাবি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি দুই নারী যাত্রীকে নির্যাতন, হয়রানি ছাড়াও ৮-১০ ঘণ্টা আটকে রেখে দেশে ফেরত পাঠায় ইতিহাদ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ।
এরপর ওই বছরের ১৪ জুলাই ওই দুই বাংলাদেশিকে নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে পররাষ্ট্র সচিবের প্রতি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। নির্যাতিতদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তারও কারণ জানতে চাওয়া হয় তখন। এ ছাড়া বিমানবন্দরে কী হয়েছে এবং ঘটনার পর কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে তখন পররাষ্ট্র সচিব ও বেসামরিক বিমান চলাচল সচিবকে নির্দেশ দেন আদালত।
পরবর্তীতে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ওই যাত্রীকে হয়রানি বা নির্যাতনের ঘটনায় তাদের কোনও দোষ নেই। বরং ওই যাত্রীর দুর্ব্যবহার করেন। এ অবস্থায় হাইকোর্ট ভিডিও ফুটেজ দাখিল করার নির্দেশ দিলেন আজ।
Advertisement
আজ আদালতের আদেশের আগে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান আদালতকে জানান, ওই ঘটনা তদন্তে কাজ করছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত সম্পন্ন করতে আরও সময় লাগবে।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম