সামাজিক বা প্রাকৃতিক বিরূপ প্রভাব না থাকলে আগামী ২৫ বছরেও হার্ডিঞ্জ সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন সেতু বিশেষজ্ঞরা।রোববার দুপুরে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের রেস্টহাউজ সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকৌশলীরা।হার্ডিঞ্জ সেতুকে বিশ্বের একটি ঐতিহাসিক ও মডেল সেতু হিসাবে চিহ্নত করে সভায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্রিজটিকে কীভাবে আরো টিকিয়ে রেখে ব্যবহার করা যায় সেসব বিষয় নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জরিপ কাজ চলছে।রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন প্রজেক্টরের মাধ্যমে হার্ডিঞ্জ সেতুর নির্মাণ সংক্রান্ত ইতিহাস উপস্থাপন করেন। হার্ডিঞ্জ সেতুর পাশে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হলে সেতুর কোনো ক্ষতি হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কোনো প্রভাব হার্ডিঞ্জ সেতুতে স্পর্শ করবে না। কারণ রাশিয়ান পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামী ২৫ বছর নিরাপদে হার্ডিঞ্জ সেতু ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে পাশে আরো একটি নতুন রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সাংবাকিদদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাকশীর ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপিঠে তাড়াতাড়ি শিক্ষক নিয়োগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ হাতে নেওয়া হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন, বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জামিরুল রেজা চৌধুরী, প্রকৌশলী ড. অমিতাভ ঘোষাল, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) মাহবুবুল হক বকশী, বুয়েটের প্রকৌশলী ড. সাইফুল আমিন, ড. আজাদুর রহমান, ড. হাসিব মোহাম্মদ হাসান, ড. প্রভীন আনোয়ার, আব্দুর রউফ প্রমুখ। সেমিনার শেষে বিকেলে বিশেষজ্ঞ দল প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী এক দশমিক ৮১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য হার্ডিঞ্জ সেতু পরিদর্শন করে সেতুটির বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। আলাউদ্দনি আহমদে/এআরএ/এমআরআই
Advertisement