জাতীয়

দুই শিশুর হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চায় ডেমরাবাসী

ডেমরা কোনাপাড়ায় দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যাকারী মোস্তফা ও আজিজুলকে প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন ডেমরা এলাকাবাসী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মানববন্ধনে দোষীদের ফাঁসির এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে দোলার মা পারভিন বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে সেদিন প্রথম কোনাপাড়া স্কুলে ভর্তি করা হয়। স্কুল থেকে এসে বাসার সামনে রাস্তায় খেলা করছিল নুসরাতের সঙ্গে। তাদের লিপস্টিক দিয়ে সাজানোর লোভ দেখিয়ে বাসায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ওই অমানুষরা। এর পর তাদের হত্যা করে ওরা। এ ঘটানায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি চাই।’

মানববন্ধনে বক্তার বলেন, পরিবারসহ এলাকাবাসীর একটাই দাবি আটক দুই আসামিকে জনসম্মুখে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে কিন্তু এমন নির্মম নৃশংস ধর্ষণ-হত্যা মেনে নেয়া যায় না। তাই আসামিদের অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। যাতে পরবর্তীতে এমন কাজের সাহস আর কেউ করতে না পারে।

Advertisement

মানববন্ধনে ডেমরা এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

ডেমরায় একটি ফ্ল্যাট থেকে গত সোমবার (৭ জানুয়ারি) দুই শিশু ফারিয়া আক্তার দোলা (৫) ও নুসরাত জাহানের (৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু দুটি ওইদিন দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল। রাত ৯টার দিকে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।

হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন গোলাম মোস্তফাকে মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গা প্রেস এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডেমরা থানা পুলিশ। মোস্তফার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজিজুলকে ডেমরার কাউন্সিলের মোল্লা ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামিদের আদালতে হাজির করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

Advertisement

স্বীকারোক্তিতে আসামি বলেন, লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশু নুসরাত ও ফারিয়াকে ঘরে ডেকে নেয় গোলাম মোস্তফা। ভাই আজিজুল বাওয়ানীকে আগেই খবর দিয়ে বাসায় ডেকে আনেন তিনি। ঘরে ডেকে প্রথমে শিশু দুটিকে নিজের স্ত্রীর লিপস্টিক দিয়ে সাজায় মোস্তফা।

এরপর তারা দুই ভাই মিলে ইয়াবাসেবন করে শিশু দুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের চিৎকারে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ফারিয়াকে গলা টিপে হত্যা করে আজিজুল। আর নুসরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে মোস্তফা।

এএস/এনডিএস/এমকেএইচ