স্বাস্থ্য

শপথ নিয়ে স্বপ্নের যাত্রা শুরু…

বৃহস্পতিবার, দুপুর দেড়টা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. মিলন অডিটরিয়ামে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আলো-আঁধার পরিবেশে মঞ্চ থেকে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ এমবিবিএস প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন।

Advertisement

ভবিষ্যত চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নযাত্রার শুভলগ্নে দেশসেরা ২২০ ছাত্রছাত্রী অধ্যক্ষের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে যখন শপথবাক্য পাঠ করছিলেন তখন পিনপতন নীরবতা।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী, দুই সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢামেকের উপাধক্ষ্য, হাসপাতালের পরিচালকের পাশাপাশি মিলনায়তনে উপস্থিত সিনিয়র-জুনিয়র শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাববকরা মনোযোগ সহকারে শপথ অনুষ্ঠান অবলোকন করছিলেন।

এর আগে বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ বলেন, আজ থেকে তোমাদের (ঢামেক কে -৭৬ ব্যাচ) স্বপ্নের যাত্রা হলো শুরু। আজ ১০ জানুয়ারি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সদ্য স্বাধীন দেশের নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু এদিন দেশে ফিরে আসেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের শুভক্ষণে শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজেই নয়, আজ দেশের সরকারি-বেসরকারি শতাধিক মেডিকেল কলেজে একযোগে এমবিবিএস প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠান শুরু হয়।

Advertisement

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. মিলন অডিটরিয়ামে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান মো.আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো.আবদুর রশীদ, ঢামেক উপাধক্ষ্য অধ্যাপক মো. শফিকুল আলম চৌধুরী, ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, ঢামেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, মহাসচিব অধ্যাপক ডা.দেবেশ চন্দ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ডা. আবদুল হানিফ টাবলু। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী ইসমাম সাকিব অর্ণব। অভিভাবকদের পক্ষে একজন মা বক্তব্যকালে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, আমরা অভিভাবকরা কষ্ট করে এত দূর পড়াশোনা করিয়েছি। সোনার ছেলেরা আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। আজ থেকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম।

এ ছাড়া তিনি নতুন ছাত্রীদের আবাসন সমস্যা দূর করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।

Advertisement

এমইউ/জেডএ/পিআর