ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান বলেছেন, পুলিশ-পাবলিক পার্টনারশিপ কাজে বিশ্বাসী। পুলিশ ও জনগণ এক সঙ্গে কাজ করলে যে কোনো অপরাধ রুখে দেয়া সম্ভব।রোববার রাজধানীর গাবতলীতে বিবিটিওএ’র (বাংলাদেশ বাস ট্রাক মালিক সংস্থা) প্রধান কার্যালয়ে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।অজ্ঞান ও মলম পার্টি প্রতিরোধে জন সচেতনতামূলক এ আলোচনা ও মতবিনিময় সভাটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।আলোচনায় মারুফ হাসান বলেন, পুলিশের পক্ষে যে সব অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, জনগণের সমর্থনে অবশ্যই তা সম্ভব। তিনি বলেন, কিছু অপরাধ মৌসুমী অপরাধ। অজ্ঞান ও মলম পার্টি কিছু কিছু উৎসবের মৌসুমকে টার্গেট করে মাঠে নামে। আমরাও প্রস্তুত রয়েছি। তবে এ কাজে জনসাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। যানবাহন ছাড়ার আগে যাত্রীদের ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করার জন্য প্রতিটি পরিবহনের মালিকদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি পরিবহনে জনসচেতনতামূলক অডিও-ভিডিও ডক্যুমেন্ট করে যাত্রীদের দেখাতে ও শোনাতে হবে। আগামী ঈদ উপলক্ষ্যে অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম বন্ধে বাসে বাসে সচেতনতা ও সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হবে। পুলিশ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা যৌথভাবে একাজ করবে। মারুফ হাসান বলেন, আসন্ন ঈদে যাত্রীদের পরিবহনে উঠানোর পর ভিডিও করার পাশাপাশি তাদের অজ্ঞান ও মলম পার্টি সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে। তিনি বলেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে টার্মিনালগুলোতে ভ্রাম্যমাণ হকার প্রবেশ নিষেধ করা প্রয়োজন। কারণ তাদের মধ্যে অনেকে অজ্ঞান ও মলমপার্টির সদস্য রয়েছে। অজ্ঞান ও মলমপার্টি চক্র তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে অনেককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু অনেকে এরই মধ্যে জামিনে বের হয়ে অপতৎপরতা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি। আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো.মফিজুল হক বেবু, বাংলাদেশ বাস ট্রাক মালিক সংস্থার চেয়ারম্যান মো. ফারুক তালুকদার সোহেলসহ প্রমুখ।জেইউ/এসআইএস/আরআইপি
Advertisement