রাজনীতি

টক-শো নিয়ে নীতিমালা করছে বিএনপি

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এবং পরে দেশের কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে মনে করছে বিএনপি। এর ফলে টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং টক-শো’তে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলটির পক্ষ থেকে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে।

Advertisement

বিবিসি বাংলার এক সংবাদে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

দলটির নেতারা জানান, নির্বাচনের আগে এবং পরে কয়েকটি টেলিভিশনের আচরণ তাদের কাছে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়েছে। যেখানে সঞ্চালকরাও একটি পক্ষ নিয়ে বিএনপিকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। এর ফলে টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলোতে দলের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে একটি গাইডলাইন তৈরির জন্য উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু জানান, ‘নির্বাচন পরবর্তী অনেক বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে টক-শো’র বিষয়টিও ছিল। বিভিন্ন টক-শো’তে যারা পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা কতটা উপযুক্ত, তাদের প্রস্তুতি কেমন, কাদের সঙ্গে যাচ্ছেন, তারা তথ্য নির্ভর কথা বলছেন কি না -সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

Advertisement

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। যারা এসব টকশো ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় তথ্য যোগান দেবেন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- শামসুজ্জামান দুদু, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ এবং রুমিন ফারহানা।

শামসুজ্জামান দুদু আরও বলন, ‘কিছু টেলিভিশন ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপিকে টার্গেট করে থাকে। এগুলো যারা ফেস করতে পারবেন না, তারা যেন সেসব টেলিভিশনে না যান। যারা পারবেন, তারাই যেন যান। তবে কাউকে কোনো টেলিভিশন বা অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে বলা হয়নি। কিছু চ্যানেল আছে যাদের অতিথি বাছাই হয় একদিকে একপক্ষের কয়েকজন, অন্যদিকে আমাদের পক্ষের একজন অথবা দুর্বল একজন।’

আরএস/আরআইপি

Advertisement