বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবহন বাজার চীনে ২০ বছরের ইতিহাসে গাড়ি বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। চায়না প্যাসেঞ্জার কার অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিসিএ) তথ্য মতে, ২০১৮ সালে দেশটিতে গাড়ি বিক্রির সংখ্যা ৬ শতাংশ কমেছে।
Advertisement
গত বছরে চীনে ২২.৭ মিলিয়ন (২২ কোটি ৭ লাখ) ইউনিট বিক্রি হয়েছে, যা বিগত ২০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি চীনের অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। আর এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর। এমনকি গত কয়েক মাসে চীনে ফোর্ড, ভলসওয়াগন, জাগুয়ার ল্যান্ডস রোভার, জেনারেল মটরসের মতো বাঘা বাঘা বিদেশি গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর গাড়ি বিক্রি কমে গেছে।
সরকার-সমর্থিত দ্য চায়না অ্যাসোসিয়েশন অব অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারস (ক্যাম) অবশ্য এর জন্য চীনের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কিছু কারণকে দায়ী করেছে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এর জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ।
Advertisement
গত বছর উভয় দেশই একে অপরের পণ্যের ওপর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আরোপ করে।
ক্যাম বলছে, তারা মনে করে চলতি বছরেও এ অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না। এ ছাড়া যদিও ডিজেল ও পেট্রোলচালিত কারের বিক্রিতে ভাটা পড়েছে, তারপরও ইলেকট্রিক কার বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থা থেকে সহজে উত্তরণ পাওয়া যাবে।
গত বছর চীন নতুন গাড়ি কিনতে ক্রেতাদের ইনসেনটিভ দেয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে দেশটিতে গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ার এটিও অন্যতম কারণ।
যাহোক, দ্য চায়না ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফরম কমিশন (এনডিআরটি) বলছে, ক্রেতারা যাতে গাড়িসহ বাড়ির আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কিনতে উৎসাহিত হয় সেজন্য তারা নতুন পরিকল্পনা হাতে নিতে যাচ্ছে।
Advertisement
রাষ্ট্রপরিচালিত গণমাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান নিং জিঝে বলেন, ‘এখনও গাড়ি বিক্রি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ গাড়ি ক্রয়-সংক্রান্ত কর্মসূচি ও করের পরিমাণ কমিয়ে দিলে গাড়ি বিক্রি বেড়ে যাবে।’
এসআর/আরআইপি