যশোরের মনিরামপুরে স্কুলছাত্র অপহরণ ও হত্যায় জড়িত এবং ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত অপহরণকারী বিল্লালের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে বিল্লালের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
Advertisement
এর আগে বুধবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন বিল্লাল। তিনি মণিরামপুরের ফেদাইপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
মণিরামপুরের নেহালপুর সড়কের কামালপুর জোড়া ব্রিজের কাছে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ অপহৃত স্কুলছাত্র তারিফের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। অপহরণ ও হত্যার শিকার শিশু তারিফ হোসেন উপজেলার ফেদাইপুর গ্রামের কৃষক ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ও গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।
নিহত তারিফ হোসেনের ছোট চাচা শরিফুল ইসলাম জানান, পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে অপহরণকারী বিল্লাল হোসেনের মা মরিয়মের সঙ্গে তারিফের মায়ের ঝগড়া হয়েছিল। এরই জের ধরে তার ছেলে বিল্লালকে দিয়ে অপহরণ করিয়ে তারিফকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
Advertisement
এদিকে বিল্লালের এই অপহরণ ও হত্যার খবর শুনে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বাড়িতে আগুন দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন জানান, নিহত বিল্লাল গত ৬ জানুয়ারি রোববার তারিফ হোসেনকে অপহরণ করে। এরপর তারিফের বাবার কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করলে তিনি ৭ জানুয়ারি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ অপহরণকারীদের দেয়া বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে বিল্লালকে শনাক্ত করে।
মঙ্গলবার কেশবপুরের একটি বিকাশের দোকানে দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা আনতে যায় বিল্লাল। এ সময় তারিফের মামার সহযোগিতায় কেশবপুর থানা পুলিশ বিল্লালকে আটক করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাতে মণিরামপুরের নেহালপুর সড়কের কামালপুর জোড়া ব্রিজের কাছে তারিফকে উদ্ধারের জন্য যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিল্লালের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি বর্ষণ করলে অপহরণকারীদের গুলিতে বিল্লাল নিহত হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পরে ওই ব্রিজের নিচ থেকে তারিফের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে লিমা খাতুন (২০) ও আমিন সরদারের ছেলে মাসুম বিল্লাহকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
মিলন রহমান/এফএ/আরআইপি