অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত কোনো ঋণের একটি কিস্তি দিতে এক ঘণ্টার জন্যও বিলম্ব করেনি। ইআরডিকে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ঋণ সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরতে হবে।’
Advertisement
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বুধবার (৯ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এ বিভাগের চলমান কার্যক্রম বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ব্রিফ করেন এবং অর্থমন্ত্রীর কাছে এ বিভাগের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা কামনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী উপস্থিত কর্মকর্তাদের তাদের এ যাবতকালের সব কার্যক্রমের জন্য প্রশংসা করেন এবং তাদের সাধুবাদ জানান।
নতুন অর্থমন্ত্রী ইআরডি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তাদের অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বিদেশি ঋণ সংস্থার সঙ্গে নেগোসিয়েশন করতে হবে, যেন বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত থাকে।’ এ ক্ষেত্রে ঋণচুক্তির শর্তসমূহ বাংলাদেশের অনুকূলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন তিনি।
Advertisement
মুস্তফা কামাল জানান, ইআরডিকে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ঋণ সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত কোনো ঋণের একটি কিস্তি প্রদানেও এক ঘণ্টার জন্যও বিলম্ব করেনি। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ জিডিপি অনুপাত মাত্র ১৩ দশমিক ২ শতাংশ। যেখানে ঝুঁকিমুক্ত মাত্রা হলো ৪০ শতাংশ। পৃথিবীতে সর্বনিম্ন বৈদেশিক ঋণ জিডিপি অনুপাতের কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে।
কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যেন আমাদের ঋণ সক্ষমতা ধরে রাখেন। তাহলে ভবিষ্যতে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক অর্থায়ন সহজতর হবে।’ এ ছাড়া প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছোট আকারের প্রকল্পে ঋণ সহায়তা প্রদানে প্রাধিকার দেয়ার জন্যও নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
এমইউএইচ/এনডিএস/জেআইএম
Advertisement