বিনোদন

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমা দেখার নিয়ম

দেশের চলচ্চিত্রমোদীদের দীর্ঘ অপেক্ষার পর পর্দা উঠছে সপ্তদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। ১০ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় থেকে শুরু হয়ে উৎসব চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

Advertisement

কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতি অনুরাগী ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আবদুল মালেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব শাহরিয়ার আলম এমপি।

বরাবরের মতোই এবারের উৎসবেও এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম সেকশনে ৭২টি দেশের ২১৮টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে ।

Advertisement

তারমধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ (৭০ মিনিটের বেশি) চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২২টি, স্বল্পদৈর্ঘ ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৯৬টি।

যে সব দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে তার মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আর্মেনিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, ভুটান, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, কিউবা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, প্যালেস্টাইন, জার্মানি, গ্রিস, হংকং, হাঙ্গেরি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইটালি, জাপান, কাজাকস্তান, কসোভো, কিরগিস্তান, লাটভিয়া, লেবানন, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মেক্সিয়া, নেপাল, নরওয়ে, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, কাতার, রাশিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিরিয়া, তাইওয়ান, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, আরব-আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভেনিজুয়েলা এবং স্বাগতিক বাংলাদেশ।

‘দ্য গেস্ট’ চলচ্চিত্র দিয়ে শুরু হবে এবারের উৎসবের যাত্রা। তুরস্ক-জর্ডানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন তুরস্কের নির্মাতা আন্দাজ হাজানেদারগলু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরই প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি।

উৎসবের জুরি হিসেবে রয়েছেন একুশে পদক জয়ী চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

Advertisement

এবারের উৎসবে চলচ্চিত্র দেখা যাবে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন, অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তন ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে।

চলচ্চিত্র দেখতে হলে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো-১. জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তন : এখানে সকাল ১০টা থেকে চলবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র। এক্ষেত্রে শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও আসতে পারবেন। এছাড়া, সকাল ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকাল ৩টার প্রদর্শনী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। এর বাইরে, সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটমূল্য ৫০ টাকা।

২. কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন : এখানে সকাল ১০টা থেকে শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। যেখানে অভিভাবকরাও শিশুদের সঙ্গে এই চলচ্চিত্রগুলো বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, সকাল ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকাল ৩টার প্রদর্শনী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। এর বাইরে, সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটমূল্য ৫০ টাকা।

৩. জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন : এই মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আগে আসলে দেখবেন ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে।

৪. অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তন : এখানকার প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আগে আসলে দেখবেন ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে।

৫. শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা : এখানকার প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আগে আসলে দেখবেন ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে।

৬. যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে : এখানে ব্লকবাস্টার কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্রদর্শনীর বিনিময়ে দর্শকরা উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো উপভোগ করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে উৎসব চলাকালীন সময়ে নিয়মিত মিলনমেলার আয়োজন থাকবে। যেখানে চলচ্চিত্র র্নিমাতা ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা তাদের চলচ্চিত্র পরিচিতির জন্য সমবেত হবেন।

এলএ/জেআইএম