প্রথম ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৩ রান। প্রায় ৬ বছর পর বিপিএলে ফেরার পর শুরুতেই হতাশ করেছিলেন তিনি। তবুও আশরাফুলের ভক্তরা তাকিয়েছিলেন তার ব্যাটের দিকে। আবারও যদি সুযোগ পান, আবারও যদি জ্বলে উঠতে পারেন তিনি।
Advertisement
এবারও সুযোগ পেলেন আশরাফুল এবং নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে শুরু করেছিলেন প্রায়। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে কিছু রানও করেছিলেন তিনি। তবে কিছুটা স্লো। তবুও তো রান আসছিল আশরাফুলের ব্যাটে। কিন্তু খুব বেশি দুর যেতে পারেননি। ২৩ বল খেলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান আশরাফুল।
সিলেট সিক্সার্সের করা ১৬৮ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে চিটাগং ভাইকিংস। আফগান মারকাটারি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ ৪ বলে ৬ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে ফিরে যান ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ার পরই মাঠে নামেন আশরাফুল। অর্থ্যাৎ ইনিংসের প্রথম ওভারেই মাঠে নামতে হয় তাকে। জুটি বাধেন ক্যামেরন ডেলপোর্টের সঙ্গে।
Advertisement
জুটিটা ভালোই গড়েছিলেন আশরাফুল। নিজে ছিলেন কিছুটা স্লো। তবে অন্য প্রান্তে ডেলপোর্ট ছিলেন মারমুখি। ২২ বল খেলেছেন তিনিও। তবে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় তিনি রান করেন ৩৮টি। তবে ডেলপোর্টের দুর্ভাগ্য। সন্দিপ লামিচানের সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে গেলে রানআউট হয়ে যান তিনি।
জুটি ভেঙে যাওয়ার পর আশরাফুলও টিকলেন না। ডেলপোর্ট চলে যাওয়ার পর আশরাফুল চেয়েছিলেন মারমুখি হতে। তাতেই সর্বনাশ ঘটে তার। উইকেট হারান ছক্কা মারতে গিয়ে। তাসকিন আহমেদের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন।
ডেলপোর্ট আর আশরাফুল ফিরে যাওয়ার পর চিটাগং ভাইকিংসও যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। আগের ম্যাচে রান করা মুশফিকুর রহীম আউট হলেন ৫ রান করে। মোসাদ্দেক হোসেন ১০ বলে ৭ রান করে আউট হয়ে যান।
এ রিপোর্ট লেখার সময় চিটাগংয়ের রান ১৪.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৯। ১৮ বলে ২০ রান নিয়ে সিকান্দার রাজা এবং রবি ফ্রাইলিংক ৩ বলে অপরাজিত রয়েছেন ২ রানে।
Advertisement
আইএইচএস/এমএস